ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি
প্রকাশিতঃ 8:27 am | February 22, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে, সরকারি বা শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মবিদ্বেষী ব্যক্তিদের স্থান না দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিউনিটি এফেয়ার্সের সেল সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এর কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেলের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে।
একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা উল্লেখ করে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির একজন সদস্যের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত আপত্তিকর মন্তব্য দেশের সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং জনমনে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। আমরা মনে করি, এই ধরনের কাজ কোনোভাবেই মুক্তচিন্তা বা স্বাধীন মতপ্রকাশের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা।
সরকারি ক্ষেত্রে ধর্মবিদ্বেষী ব্যক্তিদের স্থান না দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, আমাদের দাবি হলো- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং অবমাননাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে, সরকারি বা শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মবিদ্বেষী ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া সংগত হবে না।
ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, বর্তমান সরকার একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে শহীদদের আত্মত্যাগ রয়েছে। এই আন্দোলনের প্রাণশক্তি ছিল ন্যায়বিচার ও সাম্যের চেতনা, যা ইসলাম ধর্মের মূল শিক্ষা। তাই আমরা আশা করি, সরকার জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানাবে এবং ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রক্ষায় সরকার সচেষ্ট থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়, আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, অনতিবিলম্বে এই ধরনের কটূক্তি ও অবমাননাকর কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। এছাড়া দেশবাসীকে আশ্বস্ত করা হোক, তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রক্ষায় সরকার সম্পূর্ণভাবে সচেষ্ট থাকবে।
কালের আলো/এসএকে