অসুস্থ ও বৃদ্ধদের রোজার প্রস্তুতি

প্রকাশিতঃ 8:54 am | February 23, 2025

ধর্ম ডেস্ক, কালের আলো:

রমজানের রোজা প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ-নারী সবার জন্য ফরজ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পরবর্তীতে কাজা করার বিধান দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য শারীরিক ও পারিপাশ্বির্ক অবস্থার রমজানে ঠিক মতো রোজা রাখা সম্ভব হয় না। তাদের ক্ষেত্রে ইসলামেও ছাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই রোজা রাখতে আগ্রহী হোন। তারা রমজানের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে—

অসুস্থ ও বৃদ্ধদের রোজার প্রস্তুতি
অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তি রমজানের প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে শরীর ঠিক রাখতে পারেন।

ডায়াবেটিকসের রোগীদের নিয়মিত খাবার ও ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। রমজানে রোজা পালনের জন্য তাদের খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তাই এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেন।
শ্বাস কষ্টের রোগীদের অনেক সময় ইনহিলার ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান জানার জন্য আলেমদের শরণাপন্ন হতে পারেন।
রমজানে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে রোজা রাখার জন্য এখনি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কিনে রেখে দিতে পারেন।
অপয়োজনীয় কাজের চাপ কমিয়ে দিন।

রোজা বিধান নিয়ে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেনো তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারো।

গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্যদান করবে। যে-ব্যক্তি খুশীর সঙ্গে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি রোজা রাখো, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পারো।

রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩-১৮৫)

পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে রমজানের রোজার বিধান, রোজা রাখতে উৎসাহ প্রদান, রোজার উদ্দেশ্য এবং কাদের ওপর রোজা ফরজ, বিশেষ কারণে কারা রোজা কাজা করতে পারবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, অসুস্থ, মুসাফির ব্যক্তি তাৎক্ষণিক রোজা না রেখে পরবর্তীতে কাজা রাখবেন। আর কেউ বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে তার জন্য ফিদইয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে।

কালের আলো/এএএন/কেএ