নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি

প্রকাশিতঃ 1:33 pm | February 23, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সারাদেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি থেকে এমন দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি এ বি এম ফজলুল করিম বলেন, দেশের সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সময়ের দাবি। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মানবিক কারণে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত চার বছর কোনো আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৫ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করা দরকার। সেজন্য, এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সকল শর্ত বাতিল করে সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দুঃখ দুর্দশার অবসান করতে হবে৷

প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদি বলেন, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই টাকা দিয়ে অবিলম্বে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে জানিয়ে সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক বলেন, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন দেওয়াকে রাষ্ট্রের এক নম্বর অগ্রাধিকার হতে হবে। দেশে আন্দোলনরত যতগুলো পেশাজীবী সংগঠন যত দাবি করছে তার মধ্যে নন-এমপিও (বেতন বিহীন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন দেওয়া সবচেয়ে যৌক্তিক ও মানবিক দাবি। শিক্ষা মৌলিক অধিকার। শিক্ষকের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত না হলে দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী তথা আদর্শ নাগরিক গঠন করা সম্ভব নয়। সেজন্য, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

কালের আলো/এসএকে