বিএনপির শরিকদের ‘১২ দলীয় জোট’ বিলুপ্ত
প্রকাশিতঃ 5:57 pm | March 01, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির শরিক দলদের নিয়ে গড়ে ওঠা ১২ দলীয় জোট থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বেরিয়ে গেল জাতীয় পার্টির (জাফর)। সেইসঙ্গে এই জোট বিলুপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।
শনিবার (১ মার্চ) দলের চেয়ারম্যানের খিলগাঁও কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির (জাফর) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোস্তফা জামাল হায়দার এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তবে ১২ দলীয় জোট না থাকলেও বিএনপির নেতৃত্বে আগামী দিনেও সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশীজন হিসেবে রাজপথে লড়াই সংগ্রামে থাকার বিষয়ে একমত হয়েছে নির্বাহী কমিটি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১২ শরিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ১২ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। ওইদিন ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার।
১২ দলীয় জোটে জাতীয় পার্টি (জাফর) ছাড়াও রয়েছে কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল-জাগপা (তাসমিয়া প্রধান), এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি এবং সাম্যবাদী দল।
জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন শনিবার তাদের দলের বৈঠক নিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ১২ দলীয় জোটের কতিপয় নামসর্বস্ব নেতার কার্যকলাপ নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাফর) নেতৃবৃন্দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপেক্ষিতে আমাদের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় অনুষ্ঠিত হয়।’
‘বৈঠকে আজকে থেকে ১২ দলীয় জোট থেকে জাতীয় পার্টি (জাফর) বেরিয়ে এককভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। একইসঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বেগবান করতে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর) রাজপথে লড়াই অব্যাহত রাখবে। আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে ১২ দলীয় জোটের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিলাম।’
জানা গেছে, দলের জরুরি সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) নেতৃবৃন্দ ১২ দলীয় জোটের দীর্ঘদিনের কার্যকলাপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে জোটের কয়েকজন নামসর্বস্ব নেতার কর্মকান্ড নিয়ে নেতৃবৃন্দ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷
একপর্যায়ে দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারকে ১২ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করেন। তারপর সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ দলীয় জোট বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেন জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নোয়াব আলী আব্বাস খান, অ্যাডভোকেট হোসনে আরা আহসান, সেলিম মাস্টার, ব্যারিস্টার মোস্তফা হায়দার জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মাওলানা রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মিয়া,, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম, কাজী মো. নজরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন মিয়া, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক লোকমান পাটোয়ারী, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, যুব সংহতির আহ্বায়ক রইস উদ্দিন, সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন সরকার প্রমূখ।
কালের আলো/এএএন/কেএ