রমজানের শুরুতেই মাল্টা ও ডাবের দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশিতঃ 2:17 pm | March 02, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:

পবিত্র রমজানে ইফতারের টেবিলে অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ফল। বিশেষ করে মাল্টা, কমলা, আপেল কিংবা দেশীয় ফলের প্রতি বাড়তি নজর থাকে অনেকের। যদিও নিম্নবিত্ত, স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে ফল বরাবরই নাগালের বাইরে। তার ওপর শুরু হয়েছে রমজান। সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ফল।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজা এলেই দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলে। সব ফল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফলের দাম বরাবরই একটু বেশি। বিদেশি ফলে শুল্ক-কর আরোপে দাম আরও বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাল্টা, কমলা ও আপেলের দাম কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০-৩২০ টাকা, কমলা ২৭০-২৮০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ফুজি জাতের আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকা কেজি দরে এবং গ্রিন ও গালা আপেল ৪২০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর দেশীয় ফল প্রতি পিস ডাবের দাম আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছ ১০০-১২০ টাকায়। অন্যদিকে বড় আকারের এক পিস ডাব ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় ফল বেল (পিস) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

দাম বেড়েছে কলা ও পাকা পেঁপেরও। কলা প্রকার ভেদে হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। যার মধ্যে একটু ভালো মানের সবরি ও সাগর কলা হালি প্রতি ৫০-৬০ টাকা ও পাহাড়ি জাতের বাংলা কলা হালি প্রতি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আনারস প্রতি জোড়া ১০০-১২০ টাকা আর কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।

এ বিষয়ে রামপুরা বাজারের ফল বিক্রেতা ফরিদ বলেন, ফলের দাম বরাবরই একটু বেশি। বিদেশি ফলে শুল্ক-কর বেশি হওয়ায় ফলে বাজারে আগে থেকেই নেতিবাচক প্রভাব বিদ্যমান। দাম যা বৃদ্ধি পাওয়ার রমজানের এক সপ্তাহ আগে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ যা দেখছেন তারই প্রভাব। বাদামতলীর পাইকারি বাজারে ফল কিনতে গেলে দাম দেখে কষ্ট হয়। গরিব মানুষ ফল কিনে যে খাবে, সেই সুযোগ নেই। এমনকি দেশীয় ফলেরও অনেক দাম।

ফল ক্রেতা মাহিম বলেন, রমজান মাস এলেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পণ্যের দাম কমে। আর এখানে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলে। বলে আর কি লাভ হবে?

উল্লেখ্য, বিলাসী পণ্য বিবেচনায় বিগত সরকারের সময়ে আমদানি করা ফলে শুল্ক-কর বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার বিবেচনায় তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারে এনবিআরের কাছে সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক ও অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কামানোর সুপারিশ করে। যা বিবেচনা করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি ফলকে বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে এর ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল।

কালের আলো/এসএকে