রোজার মাসে প্রকাশ্যে ধূমপান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিতঃ 8:24 pm | March 02, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই তরুণীর ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রকাশ্যে ধূমপান করা কিন্তু অপরাধ। এসময় তিনি রোজার মাসে প্রকাশ্যে ধূমপান ও খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।

রবিবার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

শনিবার মোহাম্মদপুরের আসাদগেটের কাছে আড়ং গলির পেছনে দুই তরুণীর প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ে বয়স্ক একজনের ‘আপত্তি’ থেকে ‘বাকবিতণ্ডা’ ও মানুষ জড়ো হওয়া নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়।

পুলিশ বলছে, আসাদগেটের কাছে আড়ংয়ের পাশের একটি চায়ের দোকানে দুই তরুণী চা-সিগারেট খাচ্ছিলেন। তখন পাশ দিয়ে যাওয়া একজন বয়স্ক ব্যক্তি তাদের সিগারেট খাওয়া নিয়ে আপত্তি করেন এবং তাদেরকে চলে যেতে বলেন। দোকানিকেও দোকান বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির গায়ে চা ছুঁড়ে মারেন একজন।

এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে দুই তরুণীর ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানা্য় নিয়ে যায়। পরে রাত ১১টার দিকে দুই তরুণীতে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়ে আমি যতটুকু জানছি ওনারা নাকি সিগারেট খাইতেছিল। ওই সময় কিছু লোক না কি নামাজ পড়তে যাইতেছিল।

এসময় ওনারা (লোকেরা) বাঁধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুঁড়ে মারছে। তো আপনারা জানেন ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া কিন্তু নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এজন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। আর এখন যে রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে।

বাইরে যেন কেউ খাবারটা না খায়।

এ বিষয়ে আমাদের ধর্ম উপদেষ্টাও কিন্তু রিকোয়েস্ট করছে। যারা রোজা থাকতেছে তাদের জন্য একটা সম্মান প্রদর্শন করা, বলেন তিনি।

আরেক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, যারা বাজার অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর হবে সরকার। তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ করব যেন কেউ জিনিসপত্রের দাম না বাড়ায়। আপনারা দেখবেন অন্যান্য ধর্মের যে সময় ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো হয় সেসময় তারা জিনিসপত্রের দামগুলো কমায় দেয়। আমাদের দেশে কিন্তু উল্টোটা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই রোজায় জিনিসপত্রের দাম কিন্তু গতবারের তুলনায় কম আছে। এটাও আপনাদের বলতে হবে। অভিযান না চালিয়ে যদি জিনিসের দাম কম রাখা যায় সেটা তো ভালো।

কালের আলো/এসএকে