শাহজাদপুরে অগ্নিকাণ্ড: ১ জনের পরিচয় শনাক্ত

প্রকাশিতঃ 8:38 pm | March 03, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রাজধানীর গুলশান শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মিরন জমাদ্দার (৫৫)।

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ চারটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় গুলশান থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ হোসেন জানান, চারটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলছে। দুইটি মরদেহ শরীরে হালকা দগ্ধ আছে।

তিনি বলেন, একটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি তিনটি মরদেহ এখনও অজ্ঞাত হিসেবে রয়েছে। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর।

জানা গেছে, মিরনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দারুলহুদা বটতলা গ্রামে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) তার ছেলে মনিম জমাদ্দারের সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিহতের ছেলে মনিম জমাদ্দার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট। গত দুইদিন আগে ঢাকা রামপুরায় চাচাতো ভাই সাইদুলের বাসায় উঠি। সোমবার সকালে বাবা ও মামা দুজন গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে শাহজাদপুর সৌদিয়া আবাসিক হোটেলের ৪০২ নম্বর রুমে উঠে।

তিনি বলেন, বাবা ও মামার আসার খবর পেয়ে সকালে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। হোটেলে উঠার সময় দেখি নিচ তলায় অনেক ধোয়া। পরে বাবাকে ফোন দেই। বাবা ফোন ধরে কান্না করতে থাকে। বাবাকে বলি ছাদের দিকে উঠে যেতে। তারপর আর কথা হয়নি।

নিহতের শ্যালক হিরন তালুকদার বলেন, সকালে হোটেলে উঠার কিছুক্ষণ পর দুজন হোটেলের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে যাই। এরপর তিনি আমাকে রেখেই বিশ্রাম করার জন্য দ্রুত হোটেলে ফিরে যান। এর অল্প সময় পরই আগুন দেখে হোটেলের নিচে দৌড়ে আসি। তখন আগুনের ধোয়ায় সারা হোটেল আচ্ছন্ন হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই দুলাভাই মিরন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি হোটেলের ভিতরে আটকে পড়েছি। চারদিকে ধোয়া। কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছি না। এই বলেই কান্নাকাটি করছিলেন। এরপরই কলটি কেটে যায়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপনের পর মিরনের মরদেহ চারতলা থেকে উদ্ধার করে।

এর আগে শাহজাদপুরের সৌদিয়া নামের একটি আবাসিক হোটেলের ভবনে দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১টা ৪ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কালের আলো/এসএকে