সারবাহী নৌ যানে নিহত ৬ শ্রমিক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকার চেক প্রদান
প্রকাশিতঃ 5:19 pm | March 04, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে গত ২৩ ডিসেম্বর এমভি আল-বাখেরা নামক সারবাহী নৌ যানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করেছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারের হাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২ লাখ টাকা এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপ থেকে অনুদান হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
নিহত শ্রমিকেরা হলেন- সজিবুল ইসলাম, পিতা: দাউদ হোসেন, মহম্মদপুর, মাগুরা; মোঃ মাজিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ আনিচ মিয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা; মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া, পিতা: মোঃ আবেদ মোল্ল্যা, লোহাগড়া, নড়াইল; আমিনুর মুন্সী, পিতা: মজিবর মুন্সী, লোহাগড়া, নড়াইল; শেখ সবুজ, পিতা: মোঃ আতাউর রহমান, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর; মোঃ কিবরিয়া, পিতা: মোঃ আনিসুর রহমান, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর।
চেক বিতরণকালে উপদেষ্টা বলেন, এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এটিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে নিহত শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মানবিক কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
রমজান উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইটার জাহাজের কোনো সংকট নেই। কিছু আমদানিকারক কর্তৃক লাইটার জাহাজসমূহকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ এর ম্যাজিস্ট্রেটগণ কর্তৃক গত মাসের ১৯ তারিখ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো পণ্য মজুদ যাতে না হতে পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আমদানি হচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। ভোজ্য তেলের আমদানি এবং দ্রুততম সময়ে ভোক্তার কাছে যাতে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সরকার দেখছে।
পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএইচএন