ইফতারের সব পদের দামই বাড়তি

প্রকাশিতঃ 5:29 pm | March 04, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ইফতারে স্বাদের ভিন্নতা আনতে চান সবাই। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে, ফুটপাতে এবং রেস্তোঁরায় ভিড় করেন ভোজনরসিকরা। দুপুরের পর থেকেই ক্রেতার আগমনে জমজমটা থাকে রেস্তোঁরা ও ফুটপাত। তবে গতবারের তুলনায় এবার ইফতারের সব পদের দামই বাড়তি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বেইলি রোড ঘুরে জানা যায়, এবার বেইলি রোডে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে হালিম। এছাড়া চাহিদা বেড়েছে মাটন চাপ, বিফ চাপ, বিফ কালাভুনা, বিফ কিমা, বিফ কলিজা, ব্রেন মাসালা, চিকেন ঝাল ফ্রাই এসব আইটেমের। বিক্রি তুলনামূলক বেড়েছে চিকেন কোপ্তা, চিকেন হানি গ্লোসিং, চিলি চিকেন ও চিকেন ড্রামস্টিকের।

ইস্কাটনের বাসিন্দা কামাল মাহমুদ বলেন, রমজানে সাধারণত বেইলি রোড থেকেই ইফতারি নেওয়া হয়। এবারও নিচ্ছি। এখানকার নানান পদের মাংসের রেসিপি বেশ মজাদার। বিশেষ করে হালিম ও কালাভুনার জুড়ি মেলা ভার। তবে দাম অনেক বেশি।

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর, মাটিকাটা, মানিকদী, ইসিবি চত্বরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইফতার আয়োজনে স্থান পেয়েছে ছোলা, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, ডাবলির ঘুঘনি, মিষ্টি, শাহী হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিম, কাবাব, সবজি পাকোড়া।

আবার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে রয়েছে বিশেষ ইফতার আয়োজন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – হালিম, ফালুদা, সেমাই, চপ, কাবাব, সালাদ, পিঠা, পায়েস, জিলাপি, পুডিং, শিক ও বটি কাবাব, গরু-খাসির বিরিয়ানি ও কাচ্চি।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রতিবছর শুধু রোজার মাসেই ইফতারের এসব বাহারি ও সুস্বাদু পদগুলোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে দাম নির্ধারণে ভোক্তা পর্যায়ে যেন সহনীয়তা বজায় থাকে সে চেষ্টা করা হয়। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে গতবছরের চেয়েও এবার সব ইফতার আইটেমের দামই কিছুটা বেড়েছে।

ইসিবি চত্বরের মুসলিম সুইটসের এক ইফতার বিক্রয়কর্মী বলেন, আগের বছরের চেয়ে সবকিছুর দামই বেড়েছে। কারণ, ইফতার তৈরির সব উপকরণের দামই অনেক বেশি। চিনি, আটা, ময়দা, কাঁচামরিচ, সয়াবিন তেলসহ সবকিছুর দামই বেশি। সেজন্য ইফতারের বিভিন্ন আইটেমের দামও বেড়েছে। আসাদের এখানে সর্বনিম্ন ১০ টাকায় পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, আর সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দামে হালিম এবং এর মধ্যে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন কাবাব আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া রাজধানীর আগারগাঁও নতুন রাস্তা, সমাজকল্যাণ মোড়, নির্বাচন ভবনের সামনের সড়ক ও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় বেশ জমে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ ইফতারির দোকান। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই শুরু হয় দোকানিদের কর্মযজ্ঞ। দুপুর ২টা থেকে প্রক্রিয়া শুরু করে ইফতার সামগ্রী বানান দোকানিরা। তিনটার পর থেকেই বিক্রি শুরু হয়। অফিস ফেরত লোকজনই এখানকার বেশি ক্রেতা। বাসায় যাওয়ার পথে নিয়ে যান ইফতার।

কালের আলো/এমএএইচএন