বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ পিএসও’র
প্রকাশিতঃ 11:07 pm | March 06, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। একই সঙ্গে তিনি রসায়নকে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) ঢাকা সেনানিবাসে ‘ইন্ডাস্ট্রি সেফটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে শিল্প প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর পিউর এন্ড এ্যাপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি (আইইউপিএসি) যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের স্বনামধন্য রাসায়নিক শিল্প কারখানা ও রাসায়নিক দ্রব্য আমদানিকারকসহ সর্বমোট ২২ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে হন্ডুরাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রেসিয়া রোমিরো ও যুক্তরাজ্যের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেমদা গ্যারলিক অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করেন। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ইকবাল রউফ মামুন ও বিএনএসিডব্লিউসি এর স্টাফ অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেকচার প্রদান করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপদ ব্যবহার এবং এই সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রশিক্ষণে লেকচার প্রদানকারী দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ সময় তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজে লাগানোর পাশাপাশি সহকর্মীদের মধ্যে এই জ্ঞান বিতরণ করে বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
কালের আলো/এমএএএমকে