এমআইএসটিতে জাতীয় প্রযুক্তি উৎসবে সাড়া, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব বিকাশে উচ্ছ্বসিত তারুণ্য

প্রকাশিতঃ 9:18 pm | March 07, 2025

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

প্রযুক্তি খাত বদলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। এতে পরিবর্তন ও অগ্রগতি হচ্ছে আরও ত্বরান্বিত। অবারিত প্রযুক্তির যুগে তুমুল প্রতিযোগিতায় বেড়ে উঠছেন এখনকার তরুণেরা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদার মাত্রই জানেন প্রযুক্তি ও যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ক্রমাগত শিখতে হবে তাদেরও। উদীয়মান প্রযুক্তি এবং সর্বশেষ ট্রেন্ডগুলোর সঙ্গে থাকতে হবে হালনাগাদ। স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ে শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় যোগাযোগ ও প্রযুক্তি দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সংবেদনশীলতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে আত্মবিশ্বাস, নিজেকে উপস্থাপনের সক্ষমতা এবং ইতিবাচক মানসিকতা অপরিহার্য। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে এসবের নেই কোনো বিকল্প।

ফলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করা, উদ্ভাবনী নকশা ও প্রযুক্তিকে তুলে ধরা এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব বিকাশে উৎসাহিত করতে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) আয়োজন করেছে দু’দিনব্যাপী জাতীয় প্রযুক্তি উৎসবের। যার নাম দেওয়া হয়েছে-ইনভেনশাস ৪.১। এমআইএসটি ইনোভেশন ক্লাবের (এমআইসি) উদ্যোগে এবং গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা’র তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই উৎসবে দেশের মোট ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন। এর মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন। দু’দিনের এই আয়োজন তাদের মাঝে ফেলেছে ব্যাপক সাড়া। সময়ের সঙ্গে অগ্রসরমান আধুনিক বিশ্বে যে কোনো ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ ও প্রতিশ্রুতিকেই প্রতিফলিত করেছে প্রযুক্তিপ্রেমীদের এই উৎসব।

বিশ্ব যখন নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার আর তাঁর ব্যবহার নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের তারুণ্য হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাঁরাও প্রযুক্তির উৎকর্ষে নিজেদের ঝালাই করে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের মাধ্যমে ক্রমেই উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)। এমআইএসটি’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নবতর কার্যক্ষেত্র আর উন্নততর প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উৎসাহিত করছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি নানা রকম উদ্ভাবনী কাজে যুগিয়ে চলেছেন অনুপ্রেরণা।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী জাতীয় প্রযুক্তি উৎসবে দু’দিনে মোট চারটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে- হ্যাকাথন, লিড দি ফিউচার, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট শোকেসিং। উৎসবের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হ্যাকাথন-এ ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। এখানে তাঁরা বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমস্যা সমাধানে নিজেদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।

শনিবার (০৮ মার্চ) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হবে লিড দি ফিউচার, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট শোকেসিং। এর মধ্যে লিড দি ফিউচার প্রতিযোগিতায় ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৩ জন প্রতিযোগী, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন কম্পিটিশন-এ ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন প্রতিযোগী ও প্রোজেক্ট শোকেসিং-এ ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেবেন। তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য প্রযুক্তির জগতে নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যয়ে আয়োজিত ‘ইনভেনশাস ৪.১’ ২০২৫ নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের এক অনন্য মঞ্চ হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে এমআইএসটি।

কালের আলো/এমএএএমকে