সংসদ নির্বাচনের জন্য জোর প্রস্তুতি ইসির
প্রকাশিতঃ 10:31 am | March 09, 2025

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। আর প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর সংসদ নির্বাচনের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী। সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সরকারের অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দুটি তারিখকে টার্গেট করে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে সরকার থেকে ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। জুনে তো করা যাবে না। করলে হয়ত এপ্রিলে করতে হবে। তবে আমরা মিনিমাম সময় ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও জানান, সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার মেয়াদ ছয় মাস। তাহলে মিনিমাম সংস্কার যদি হয়, তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হবে। আর ডিসেম্বরে করতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এখন ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়ছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতারা প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন কোনটি আগে হবে, কীভাবে হবে— এসব প্রশ্ন ঘিরে দুই দলের নেতাদের বক্তব্যে মতপার্থক্যও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক। আমরাও চাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক। সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’
অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রতিনিয়তই বলছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশবাসী স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেনে নেবে না। বিএনপিও তা হতে দেবে না।’
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে, এম, আলী নেওয়াজ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে আমাদের সীমানা নির্ধারণ আইন নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সংস্কার কমিশন যে রিপোর্টগুলো দিয়েছে, ওই রিপোর্টের আলোকে আমাদের কোনও পরিবর্তন হবে কিনা সে বিষয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপরে কোনও পরিবর্তন করতে হবে কিনা সেগুলোও দেখার বিষয় আছে। তবে আপাতত আমরা সীমানা নির্ধারণ আইনটা নিয়ে চিন্তা করছি।’
কালের আলো/এমএএইচএন