অভিজাত এলাকায় রঙমিস্ত্রী ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করে ডাকাতি করতো বিল্লু
প্রকাশিতঃ 4:12 pm | March 09, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ডাকাত সরদারসহ চারজনকে বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ডাকাত সরদার মো. বিল্লু মিয়া (৩৫) ও সহযোগী আবু জাহের (৩০), আল আমিন ওরফে পাঠা আল আমিন (২০) ও মো. আলমগীর (৩২)।
গ্রেপ্তারের সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি রিভলবার, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি করে পাইপ গান, কার্টিজ, সিএনজি, চাকু, রেঞ্জ, সামুরাই, শাবল, স্ক্রু ড্রাইভার, দুটি করে দুটি প্লায়ার্স, র্যাব-পুলিশ সদৃশ্য কালো রঙের জ্যাকেট, কালো ক্যাপ ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব বলছে, ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি রেকি করে তথ্য সংগ্রহ করত। বিশেষ করে ডাকাত সরদার বিল্লু অভিজাত এলাকায় রঙমিস্ত্রী ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করে ডাকাতি করতো।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরকেন্দ্রিক সকল অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় আনার লক্ষে র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বাঁশবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত সরদার বিল্লুকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
পরে তার দেহ তল্লাশী করে কোমরে রক্ষিত অবস্থায় একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্যান্টের ডান পকেট হতে পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি খালি খোসা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বিল্লুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও সিএনজি ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িত। আসামি বিল্লু মিয়া মোহাম্মদপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। পাশাপাশি গ্রুপটি নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করতো।
গ্রেপ্তারকৃত বিল্লুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানা চাঁদ উদ্যান লাউতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী আবু জাহের (৩০), আল আমিন ওরফে পাঠা আল আমিন (২০) ও মো. আলমগীরকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের অপর দুজন সহযোগী মো. রাজা (৩৬) ও মো. নাগর (৩০) পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, ডাকাত সরদার বিল্লু ৮ বছর আগে গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় আসে। সে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রঙমিস্ত্রীর কাজ করতো। মূলত সে এই পেশার আড়ালে ডাকাতি করার জন্য রেকি করতো এরপর তার সংগ্রহ করা তথ্য নিয়েই দলের সদস্যদের নিয়ে ডাকাতি করতো।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার তথ্য পেয়েছে র্যাব। ডাকাত বিল্লুর দলে একাধিক নারী সদস্য রয়েছে। যাদের ব্যবহার করে সিএনজি চালককে মারধর করে গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার কাজ করতো। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
কালের আলো/এমডিএইচ