ধর্ষকের কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে ইসলামে

প্রকাশিতঃ 8:38 pm | March 09, 2025

ধর্ম ডেস্ক, কালের আলো:

ইসলামে জেনা বা ব্যভিচারকে অশ্লীল এবং নিকৃষ্ট কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ পাপের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী যদি বিবাহিত হয় তাহলে তাদেরকে আমৃত্যু পাথর নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর যদি ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী অবিবাহিত হয় তাহলে তাদেরকে ১০০ বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী—তাদের প্রত্যেককে ১০০ কশাঘাত করবে…।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)

তবে দুনিয়াতে এ শাস্তি কেবল ইসলামী রাষ্ট্রের সরকার ও প্রশাসন প্রয়োগ করবে। কোনো কারণে যদি এ শাস্তি আরোপিত না হয় তাহলে দুনিয়াতেই কোনো না কোনোভাবে এর শাস্তি এসে যাবে।

এ বিষয়ে হাদিস শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ব্যভিচারের মন্দ পরিণাম ছয়টি। তিনটি দুনিয়ায় আর তিনটি আখিরাতে।

দুনিয়ার তিনটি হলো- ১. চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া, ২. দরিদ্রতা, ৩. অকালমৃত্যু।

আর আখিরাতের তিনটি হলো- ১. আল্লাহর অসন্তুষ্টি, ২. হিসাব-নিকাশের কঠোরতা ও ৩. জাহান্নামের কঠিন শাস্তি। (ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ, ই. ফা. পৃ. ১০৯)

ইসলামে ধর্ষকের শাস্তি

ধর্ষক যখন ধর্ষণ করে তখন এক পক্ষ থেকে ব্যভিচার সংঘটিত হয় এবং অন্য পক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। এ ক্ষেত্রে মজলুমের কোনো দোষ না থাকায় তার শাস্তি নেই। শুধু জালিম বা ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর করা হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৩টি বিষয় সংঘটিত হয়। এক. ব্যভিচার। দুই. বল প্রয়োগ। তিন. সম্ভ্রম লুণ্ঠন।

ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি ব্যভিচারী অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে ১০০ বেত্রাঘাত করা হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রেও ব্যভিচারের শাস্তি প্রযোজ্য হবে বলে ইমাম হানাফি, শাফেয়ি ও হাম্বলি (র.) মত দিয়েছেন।

তবে ধর্ষণের সঙ্গে যদি হত্যাজনিত অপরাধ যুক্ত হয়, তাহলে ঘাতকের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

কালের আলো/এসএকে