ক্রেতা কমেছে ফল বাজারে
প্রকাশিতঃ 4:35 pm | March 10, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ডলার সংকট ও অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে এমনিতেই ফলের দাম বেড়েছে। এরপর রোজার মাসে আড়ৎ থেকেও আরওে বেশি দাম ফল কিনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে খুচরা বাজারে এটির প্রভাব পড়েছে। আর দাম বৃদ্ধি ও নানা সংকটের কারণে ফল বাজারে ক্রেতা কমেছে বলে জানান তারা।
ক্রেতারা জানান, নানা কারণে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অর্থনৈতিক সংকটে প্রায় সবাই। এই পরিস্থিতিতে ইচ্ছে থাকলেও অনেক ফলের দাম সাধ্যের বাইরে। তাই আগের তুলনায় পারিবারিক খাদ্য তালিকার চার্ট থেকে তুলনামূলক দামি ফলের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের পুরো ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল এখন তরমুজ। তবে এটির দাম এই এলাকার সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কারণ প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। পেয়ারা কেজি ১৫০, প্রতি পিস আনারস পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।
দেশীয় সহজলভ্য ফল পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও যেটা ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। কলা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে।
অন্যদিকে প্রতি কেজি আপেল বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা কেজি দরে, গ্রিন আপেল ৪৫০ টাকা, মাল্টা ৩০০ টাকা, কমলা ২৮০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩২০ টাকা, আঙুর (কালো) ৪২০ টাকা, আঙুর (সবুজ) ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে এসব ফলের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগেও একদম নিম্নমানের খেজুর বিক্রি হতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। খুচরা দোকানে দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। আজোয়া, মরিয়ম, মেডজুল, মাব্রুম খেজুরের জন্য গুনতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা।
সেগুনবাগিচা থেকে ফল কিনতে এসেছেন জিল্লুর রহমান নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, বছরের শুরু থেকে ফলের দাম এমনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগের মতো নিয়মিত ফল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। একরকম বাধ্য হয়ে বাজার তালিকা থেকে ফল কেনার পরিমাণ কমাতে হচ্ছে।
কালের আলো/এমএএইচএন