নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত

প্রকাশিতঃ 4:29 pm | March 11, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পুলিশের ডিজিটাইজেশনে নতুন চারটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুলিশের হটলাইন সেবার পাশাপাশি নারীরা সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন।

মঙ্গলবার (১১মার্চ) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, পুলিশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি পুলিশ কমান্ড অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অভিযোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ইন্সিডেন্টস ট্র্যাকিং সফটওয়্যার, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড ও অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অনলাইনে কিংবা শর্টকোডের মাধ্যমে মামলা বা এফআইআরসহ বহুবিধ আধুনিকায়নের কাজও শুরু হয়েছে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে, বর্তমানে চালু থাকা জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩-এর সাথে যুক্ত হবে একটি নতুন শর্টকোড ৩৩৩৩। এই নম্বরে কল করে বা শর্টকোডের মাধ্যমে নারীরা কোনো নির্যাতনের ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়া, কল সেন্টারে শতভাগ নারী সদস্য রাখা হবে, যাতে নারীরা নিঃসংকোচে অভিযোগ জানানোর পরিবেশ পায়।

তবে ৯৯৯-এ এই সেবাটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, আপাতত ৩৩৩৩ সেবাটি আলাদা থাকবে।

এছাড়া অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি করার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসছে। যুক্ত হচ্ছে অনলাইন এফআইআর পদ্ধতি। এক্ষেত্রে কল সেন্টারে প্রোফাইল ডাউনলোড হওয়ার পর কলটি সরাসরি সংশ্লিষ্ট থানায় চলে যাবে।

বর্তমানে থানার দায়িত্বরতদের ফোন নম্বরের ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা আইসিটি বিভাগ থেকে করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

পুলিশ কমান্ড অ্যাপের প্রটোটাইপ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে এবং এর উন্নয়নের কাজ চলমান। বর্তমানে পুলিশ সদস্যরা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেও, তা তথ্য পাচারের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এই কারণে পুলিশের জন্য একটি নতুন ‘পুশ টু টক’ অ্যাপ তৈরি হচ্ছে, যেখানে তথ্য পাচার রোধে শক্তিশালী ব্যবস্থা থাকবে।

তাছাড়া, পুলিশের নতুন ‘ইন্সিডেন্টস ট্র্যাকিং সিস্টেম’-এর মাধ্যমে সব ধরনের মেসেজ ও যোগাযোগ সংরক্ষণ করা হবে, যা অপরাধের ঘটনা অনুসন্ধানে সহায়তা করবে এবং সেবা প্রদান আরও সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী হবে।এই ট্র্যাকিং সিস্টেমে সব ধরনের মেসেজ আদান-প্রদান ও যোগাযোগ সংরক্ষণ করা হবে। ফলে যে কোনো অপরাধের ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেটি একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। এর ফলে সেবা প্রদান সহজ ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের কাজের চাপও কমবে।

এই ট্র্যাকিং সিস্টেমে সব ধরনের মেসেজ আদান-প্রদান ও যোগাযোগ সংরক্ষণ করা হবে। ফলে যে কোনো অপরাধের ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেটি একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। এর ফলে সেবা প্রদান সহজ ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের কাজের চাপও কমবে।

এ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

কালের আলো/এসএকে