রমজানে দ্রব্যমূল্য নিম্নমুখী: বাণিজ্য উপদেষ্টা
প্রকাশিতঃ 9:55 pm | March 12, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রমজানে দব্যমূল্য স্থিতিশীল থেকে নিম্নমুখী আছে। নিত্যপণ্যের বাজার সামনে আরও নামবে।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে ইমাম ও খতিবদের ইফতার পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব হলো, তার পেছনে একটি বড় কারণ হলো সম্পদের বৈষম্য। বৈষম্য দূর করতে হবে আমাদের কর্ম ও নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে। সম্পদের বৈষম্য দূর করতে ইসলামি মডেলের কর্জে হাসানা ও জাকাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘জাকাত সম্পদ ডিস্ট্রিবিউশনের একটি কার্যকর ইসলামি মডেল। জাকাত ব্যক্তির দায় এটা কোনও চ্যারিটি নয়। জাকাত দিতে ইমাম ও খতিবরা মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। এর মাধ্যমে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে, দারিদ্র্য কমে আসবে। এ সময় জাকাত মজুতদারি নিরুৎসাহিত করে।’
তিনি বলেন, ‘টিসিবি বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে সরকারের ভর্তূকি সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি সব ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্নীতি হয়েছে বিগত সময়ে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টিসিবির কার্যক্রমে চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে।’
টিসিবির কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ততা কামনা করে তিনি বলেন, ‘শুধু ইসলামের নয়, সব ধর্মের নেতাদের প্রতি আহ্বান আপনারা টিসিবির ১ কোটি প্রান্তিক পরিবারকে সঠিকভাবে বাছাই করতে সহযোগিতা করেন। আপনাদের মাধ্যমে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ ও নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার সরকার মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবন পৌঁছে দেবে। আপনাদের দায়িত্ব হবে, চামড়া কোরবানির দিনেই বিক্রি না করে পরিষ্কার করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা। সাত দিন পরে বিক্রি করলে উপযুক্ত দাম পাবেন।’
চামড়াকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের মাদ্রাসা ও এতিমখানার আয়ের একটি বড় উৎস। চামড়া শিল্পের বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে।’
কোরবানির পরপরই ঢাকার বাইরের জেলা থেকে চামড়া ঢাকায় ঢুকলে সরবরাহ বেড়ে যায়, দামও কমে যায়। এবার যাতে এটা না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
সমাবেশে আরও ছিলেন– হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জুনায়েদ আল হাবিব, হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজত ইসলামির বিভিন্ন স্তরের নেতা ও বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও ইমামরা।
কালের আলো/এমডিএইচ