বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
প্রকাশিতঃ 10:03 pm | March 12, 2025

নোয়াখালী প্রতিবেদক, কালের আলো:
নোয়াখালীর কবিরহাটে হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। এরপর সিডিউল ক্রয় করে অনেক নতুন ও পুরনো দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম সমাপ্তি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ দর ২৩ লাখ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইজারা পান নতুন দরদাতা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ। এ নিয়ে তার সঙ্গে ইউএনও কার্যালয় থেকে বের হলে আমিন বাজারের পুরনো ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সুজন অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষ বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উপজেলা পরিষদের মাঠে তাদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, ‘আমি কোনও দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙে যায় এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
অপরদিকে, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব মো. সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৯-১০ জন লোক প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, ‘ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে, আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছেন। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি আমার অফিসে ছিলাম। তবে মারামারির কোনও ঘটনা দেখিনি।’
কালের আলো/এমডিএইচ