বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্যের তাণ্ডবের অপরাজনীতি

প্রকাশিতঃ 10:42 pm | March 12, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ’র ‘দীঘির জলে কার ছায়া গো’ উপন্যাসের নায়ক মুহিবের একটা বিশেষ দিবস আছে-মিথ্যা দিবস। সপ্তাহে এক দিন সে দিনটি পালন করে। ‘বুধবার হলো মুহিবের মিথ্যা দিবস। মিথ্যা দিবসে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সে মিথ্যা কথা বলে।’ ঠিক তেমনি দেশের প্রতিটি দুর্যোগে, সঙ্কটে ও দু:সময়ে অগ্রসর ও নিয়ামকের ভূমিকা পালন করা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে অবলীলায় স্বরচিত মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে তাদের অপতথ্যের তাণ্ডব। বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে তাদের ফেক নিউজ ও গুজব। দেশটির মূলধারার গণমাধ্যম থেকে শুরু করে অখ্যাত-কুখ্যাত ও নামসর্বস্ব গণমাধ্যমে চালানো হচ্ছে একের পর এক অসত্য প্রচারণা।

কতিপয় উপস্থাপকের বিকৃত লম্ফঝম্ফ, আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ব্যবহার করে সংবাদ ও টকশোতে দেদারছে করা হচ্ছে বিষোদ্গার। তাদের মূলত টার্গেট বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর স্থিতিশীলতা ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। কিন্তু রণাঙ্গনে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়ের পরিক্রমায় এখন অনেক বেশি দক্ষ, সুসংগঠিত ও দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। আরও শক্তিশালী ও সৃদুঢ় হয়েছে বাহিনীটির চেইন অব কমান্ড। অথচ পড়শি দেশটির গণমাধ্যমসমূহের ভাবাদর্শ বা আইডিওলজিই বলছে তাঁরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যা বলার এক অপ্রতিরোধ্য তাড়না অনুভব করছে প্রতিনিয়ত। এর মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হেয় করার অপকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের বিকৃত রুচি ও মনস্তাত্ত্বিক দীনতার বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।

ভারতীয় গণমাধ্যমের গোয়েবলসীয় এমন মিথ্যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেতর অভ্যুত্থান ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়া শীর্ষক বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কল্পিত ও ভুয়া সংবাদ। তিন বাহিনীর মুখপাত্র আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদ লিপিতে আইএসপিআর বলেছে, ‘দ্য ইকোনোমিক টাইমস এবং দ্য ইন্ডিয়া টুডেসহ কিছু ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থিতিশীলতা এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃত এসব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।’ তাঁরা বলছে, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। আমরা সকল সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার এবং অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ভারতীয় গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক এই প্রবণতাকে অনেকেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু সিরিজের বইয়ে জোজো চরিত্রটির সঙ্গে তুলনা করেছেন। ডাহা মিথ্যা আর বানিয়ে কথা বলার প্রবণতার মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম সত্যের প্রতি সাংবাদিকতার প্রথম বাধ্যবাধকতা বা দায়িত্বের বিষয়টিও যেন ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুলতে বসেছে। চোখে চোখ রেখে নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলছে। নির্জলা মিথ্যাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের মানুষ। দিল্লির গণমাধ্যমগুলোর অবন্ধুসুলভ, অকূটনৈতিক এবং অভব্য অশোভন আচরণ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। মিথ্যা তথ্য এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর বিশ্বপরিমণ্ডলে আলোকোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বারবার এমন ভুয়া ও গুজবের বিষয়টি ওঠে এলেও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ থেকে সরে আসেনি ভারতীয় মিডিয়া। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান বলছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সেনা অভ্যুত্থান সংক্রান্ত দাবিটি সঠিক নয় বরং প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পরে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া আলোচিত দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

‘মিথ্যারাজ’ ভারতীয় গণমাধ্যম; শক্তিশালী চেইন অব কমান্ডে চাঙ্গা প্রতিটি সেনা সদস্যের মনোবল
মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রোপাগান্ডার ইতিহাস মানুষের সভ্যতার সমান বয়সী। এই প্রোপাগান্ডা চলত সত্যকে সরিয়ে রেখে মিথ্যাকে সামনে নিয়ে আসে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমও আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। স্বভাবতই এক্ষেত্রে তাঁরা ‘মিথ্যারাজ’ এর স্বীকৃতি পেতেই পারেন। তাদের গণমাধ্যমসমূহের কাণ্ডকীর্তি দেখে স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিষয়ে তাদের ন্যূনতম অভিজ্ঞতা বা বিস্তারিত কোন অনুসন্ধান নেই। চিল আদৌ কান নিয়েছে কি না, কান যথাস্থানে বহাল তবিয়তে আছে কি না, তার খোঁজ না নিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিলের পিছু পিছু দৌড় শুরু করেছে। তাদের মন-মানসিকতা অমার্জিত রুচিহীন। অপতথ্যের একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অকাতরে মিথ্যা ও কপটাচার চালাচ্ছে। সন্দেহ-সংশয় উসকে দিতে, বিভাজন বাড়াতে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং সমাজে অবিশ্বাসের বীজ বপন করতে যারপরেনাই তাঁরা অপতথ্য ছড়াচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্ব ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা যেমন দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তেমনি ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগে-পরে জাতির চরম সংকটের সময়েও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের ক্রান্তিকালে দেশের প্রয়োজনেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সেনা-জনতার শক্ত সেতুবন্ধ রচিত হয়েছে। একটি আধুনিক, পেশাদার, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি রক্ত বন্যার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনের পাশে দাঁড়াবে’। আক্ষরিক অর্থেই নিজের কথা রেখেছেন সেনাপ্রধান।

দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেসি সক্ষমতা নিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জননিরাপত্তা, অরাজকতা প্রতিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কারসাজি রুখে দেয়া, পোশাক শিল্প সচল রাখা, রাষ্ট্রের কেপিআই এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোকে রক্ষা, সড়ক-মহাসড়ক বাধামুক্ত রাখা, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, বিদেশি কুটনীতিক ব্যক্তি ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ নানাবিধ কাজ সমানতালেই করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়েও এর আগে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে জনগণের ওপর দমন-পীড়নকে রোধ করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা একটি ইতিবাচক ঘটনা। জাতির পরম আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চলমান দেশ গঠনেও নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার একটি বাস্তবিক দৃশ্যায়ন ঘটিয়েছে নীরবে-নিভৃতে’ কোন হাঁকডাক না মেরে। দেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিষ্ঠা এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্বের বুকে সমুন্নত রেখেছেন। বিশ্বমানবতার সেবায় নীল হেলমেট মাথায় নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, অঙ্গীকার, নিরপেক্ষতা, সততা ও মানবিকতায় স্থাপন করেছেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

‘শান্তির প্রশ্নে উন্নত মমশীর’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর দক্ষ, বিচক্ষণ ও কুশলী নেতৃত্বে আরও শক্তিশালী হওয়ায় রীতিমতো অপরাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তাঁরা প্রচার করছে-‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। আর এই চেষ্টায় না কী জড়িত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানসহ ১১ জন সেনা কর্মকর্তা!’ বিবেকবান ও সচেতন মানুষ মাত্রই উপলব্ধি করবেন গুজবের মহামারিতে সয়লাবের নেহায়েত এক অপচেষ্টার কসরত। দেশের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন ভূমিকাকে ভন্ডামি ও কূপমণ্ডুক হিসেবেই দেখছেন। তাঁরা বলছেন, ‘প্রকৃত অর্থেই সাংবাদিকতা কেবল তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহের পেশা নয়; এটির ভিত্তি হচ্ছে তথ্য যাচাই করাও। ইংরেজিতে যাকে বলে ভেরিফিকেশন, একে আমরা সত্য প্রতিপাদন বলে বর্ণনা করতে পারি। এটাই সাংবাদিকতাকে প্রোপাগাণ্ডা থেকে আলাদা করে বলে আমেরিকান প্রেস ইনস্টিটিউট মত দিলেও ভারতীয় গণমাধ্যম পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে কুৎসা রটিয়ে কর্তৃত্ববাদীদের একটা বড় হাতিয়ার হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে। তাদের এমন অপতথ্যের বিস্ফোরণ কোনমতেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের মধ্যকার দৃঢ় বন্ধন আলগা করতে পারবে না। উল্টো দেশের সংকটময় সময়ে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় তাঁরা ঐক্যবদ্ধ। সব অপপ্রচারকে প্রত্যাখ্যান করে আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে তাদের মনোবল। নিজ বাহিনীর ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে নিরলস পরিশ্রম এবং ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত প্রতিটি সেনা সদস্য।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ শাখা আইএসপিআর এই বিষয়ে বলেছে, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনী প্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কমান্ড শক্তিশালী। সিনিয়র জেনারেলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্য সংবিধান, চেইন অব কমান্ড এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আনুগত্যের প্রতি অটল। অনৈক্য বা আনুগত্যহীনতার যে কোনো অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এবং বিদ্বেষপূর্ণ।’

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রোপাগাণ্ডার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিশেষ করে উদ্বেগের বিষয় হলো, দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এই ধরণের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে। এই সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র এক মাস আগে, গত ২৬ জানুয়ারি একই ধরণের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই ধরনের আচরণ এই সংবাদমাধ্যমগুলোর উদ্দেশ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। তদুপরি, বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং কয়েকটি অখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেলও এই মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর প্রচারণাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি মেনে চলার পরিবর্তে, তারা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।’

আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এই সংবাদমাধ্যমগুলোকে, বিশেষ করে ভারত বেইজড সংবাদমাধ্যমগুলোকে, ভালো সাংবাদিকতা অনুশীলন মেনে চলার এবং যাচাই না করা এবং চাঞ্চল্যকর গল্প প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে যে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তাদের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) থেকে মন্তব্য চাওয়া এবং যাচাই করা উচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে সঠিক এবং অফিশিয়াল তথ্য দেওয়ার জন্য আইএসপিআর সব সময় অ্যাভেইলেবল রয়েছে।’

কালের আলো/এমএএএমকে