দিল্লির হোটেলে ব্রিটিশ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
প্রকাশিতঃ 12:15 pm | March 13, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি হোটেলে ব্রিটেনের এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন এবং অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তার “বন্ধুত্ব” রয়েছে।
কৈলাস নামের অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া কৈলাসের বন্ধুর বিরুদ্ধেও ব্রিটিশ পর্যটকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব হওয়া হওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লিতে আসার পর ব্রিটিশ এক নারীকে দিল্লির মহীপালপুরের একটি হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কৈলাসকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বন্ধু ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পর্যটকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্রিটিশ ওই নারী মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায় ছুটি কাটাতে ভারতে এসেছিলেন। তিনি সেখান থেকে কৈলাসকে ফোন করে তার সাথে যোগ দিতে বলেন। কৈলাস তাকে বলেছিলেন— তিনি সেখানে যেতে পারবেন না এবং তাকে দিল্লিতে আসতে বলেন। পরে ওই নারী গত মঙ্গলবার দিল্লিতে পৌঁছে মহীপালপুরের একটি হোটেলে ওঠেন। এরপর তিনি কৈলাসকে ফোন করেন এবং সে তার বন্ধু ওয়াসিমের সাথে হোটেলে পৌঁছায়। অভিযোগ করা হয়েছে, সেই রাতেই তাকে ধর্ষণ করে কৈলাস।
পরের দিন সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গাইডলাইন অনুসারে, পুলিশ ব্রিটিশ হাইকমিশনকে ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করেছে এবং তারা ব্রিটিশ নাগরিককেও সহায়তা করছে।
এনডিটিভি বলছে, কৈলাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, সে (কৈলাস) ভালো করে ইংরেজি বলতে পারে না এবং এই কারণে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করত অভিযুক্ত ওই যুবক।
এদিকে দিল্লিতে ব্রিটিশ নারীকে ধর্ষণের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাম্পি শহরের কাছে অবস্থিত সানাপুর লেক এলাকায় সম্প্রতি ইসরায়েলি এক নারী পর্যটকসহ দুই নারীকে ধর্ষণ ও তাদের সঙ্গে থাকা এক পুরুষকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, একইসঙ্গে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতে বিদেশি নারী তথা ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা। আতঙ্কে অনেকেই ওই এলাকা ছাড়ছেন বলেও খবর প্রকাশ হয়েছে।
সম্প্রতি বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলি নারীকে ধর্ষণের সেই ঘটনার পর গত কয়েকদিনে বহু বিদেশি পর্যটক ইউনেস্কোর ওই ঐতিহ্যবাহী স্থান ছেড়ে চলে গেছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। অনেক বিদেশি পর্যটক বুকিং ক্যান্সেল করেছেন। অনেকে আবার তাদের পূর্ববর্তী ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করে অন্যত্র যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কালের আলো/এমডিএইচ