বঙ্গবন্ধুর শৈশবের খেলার মাঠকে ঘিরে একগুচ্ছ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী রাসেলের
প্রকাশিতঃ 7:22 am | April 03, 2019
স্পোর্টস এডিটর, কালের আলো :
প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়াতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুই পায়ের নৈপুণ্যে ফুটবল মাঠেও ছড়িয়েছিলেন নিজের সুনাম। তাঁর সময়ে বিবেচিত হয়েছিলেন বিস্ময়কর এক ফুটবলার হিসেবেও। নিয়মিত ছিলেন প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল আসরেও।
খেলেছেন ঢাকার ফুটবল জায়ান্ট ওয়ান্ডারার্স হয়ে। চল্লিশের দশকে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত এক টুর্নামেন্টে ওয়ান্ডারার্সকে হার না মানা শিরোপাও এনে দিয়েছিলেন। এতো গেলো একজন পরিণত ফুটবলার বঙ্গবন্ধুর গল্প। কিন্তু ফুটবল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দুরন্তপনার এই শুরুটা হয়েছিলো কোথায় তা হয়তো জানা নেই অনেকেরই।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই একজন ফুটবলার হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। কিন্তু যে খেলার মাঠটি থেকে ক্রীড়ঙ্গণেরও ‘মহাতারকা’ হিসেবে উঠে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিকে এতোদিন দৃষ্টি ছিলো না কারো।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাসের স্বাক্ষী জাতির জনকের শৈশব স্মৃতিবিজড়িত খেলার মাঠটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সম্প্রতি এই খেলার মাঠটি পরিদর্শন করেছেন তিনি। সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন এই মাঠটির ডিজাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানো হবে। পরবর্তীতে তাঁর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই বঙ্গবন্ধুর শৈশব স্মৃতিচিহ্নের মাঠটি সংরক্ষণে আনুষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ শুরু হবে।
গাজীপুর-২ আসন থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। গাজীপুরের কিংবদন্তি রাজনীতিক শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের এই জ্যেষ্ঠ ছেলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
শৈশবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল নিজেও ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলতেন। ফলে খেলাধূলার প্রতি স্বভাবজাত টান ছিলো তাঁর। প্রতিমন্ত্রীর ঝুলিতে রয়েছে দশ বছর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।
এবার প্রথমবার বঙ্গবন্ধু কন্যা তাকে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী’র দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই মহাকালের মহাপুরুষের শেকড় অনুসন্ধানে নেমেছেন তিনি। অবশ্য এই শেকড় রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুর নয়। এই শেকড় খেলার মাঠ কাঁপানো বঙ্গবন্ধু’র শৈশবের।
জীবনের প্রত্যুষে যে মাঠে খেলাধূলায় মেতে উঠতেন শেখ মুজিবুর রহমান। টুঙ্গিপাড়ায় যেখানে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন বঙ্গবন্ধু তাঁর ঠিক পাশেই খেলার মাঠটি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর শৈশবের স্মৃতিচিহ্ন আঁকা খেলার মাঠটি সংরক্ষণের আদ্যোপান্ত তিনি তুলে ধরেছেন কালের আলো’র সঙ্গে আলাপচারিতায়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি রোববার (৩১ মার্চ) রাতে কালের আলোকে বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর শৈশব স্মৃতি’র এই মাঠটি স্টেডিয়াম হবে না। আমরা এই মাঠটি ব্যতিক্রমভাবে সংরক্ষণ করবো।
চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। হাঁটার জন্য মাঠের পাশে থাকবে ওয়াকওয়ে। থাকবে ড্রেসিংরুম এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। আগামী অর্থ বছরে এই মাঠটি সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।’
কালের আলো/ওএইচ/এএ