ব্যাংক আমানতে ঊর্ধ্বগতি, প্রবৃদ্ধি ছাড়ালো ৮ শতাংশ
প্রকাশিতঃ 4:21 pm | March 13, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
প্রায় চার মাস পর ব্যাংক আমানতে ঊর্ধ্বগতি প্রবণতা দেখা দিয়েছে। জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে ৮ শতাংশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন আমানতের নিম্ন প্রবৃদ্ধির পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, তারল্য সংকট দায়ী ছিল। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার অভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের শেষ চার মাস ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে ছিল। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশে। গত বছরের ডিসেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তার আগে সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নভেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
ব্যাংক খাতে আমানতের কম প্রবৃদ্ধি ছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে নানান সংকট ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থান কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও অভ্যন্তরীণ বেসরকারি ঋণ ও আমানতের প্রবৃদ্ধিতে তেমন পরিবর্তন আসেনি।
তবে গত বছরের অগাস্টে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেও ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ আমানত প্রবৃদ্ধি হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। যা তার আগের বছরের একই সময়ে (ডিসেম্বর-২০২৩) ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঋণ অনিয়ম ও তারল্য সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়। এসব কারণে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যায়। ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। তবে আমাদের দেশে হওয়া উচিত ১২ থেকে ১৪ শতাংশ।
ব্যাংকিং চ্যানেলে ফিরছে টাকা
চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে থাকা প্রায় ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা পুনরায় ব্যাংকে ফিরেছে। জানুয়ারি শেষে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। যা তার আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
কালের আলো/এএএন