জোরদার হচ্ছে সচিবালয়ের নিরাপত্তা, বসছে কাঁটাতারের বেড়া

প্রকাশিতঃ 5:33 pm | March 13, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। চারদিকের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী উঁচু করার পাশাপাশি বসানো হচ্ছে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া। শুধু তাই নয়, সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব ক্যামেরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম, চেহারা চিহ্নিত করা, গাড়ির নম্বর চিহ্নিত করা প্রযুক্তিসহ ১০ ধরনের সুবিধা।

এছাড়া দিনের পাশাপাশি রাতে কোনো অপরাধ ঘটলে সহজেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে। যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক শব্দ আসবে মনিটরিং রুমে। আমেরিকা ও জাপান থেকে ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৬২৪ সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।

জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েক সপ্তাহজুড়ে কর্মদিবস এলেই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে জমায়েত করে বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। এ কারণে সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বিশেষ করে গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা সংখ্যা উল্লেখ করে চলতি মার্চ মাসের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পাঁচটি গেটে ও সীমানা প্রাচীর-সংলগ্ন সব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে ৭৪টি ক্যামেরা দ্রুত কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে সচিবালয়ের গেট ও বিভিন্ন ভবনের প্রবেশমুখে ৪৩ ফেস ডিটেকশন ক্যামেরা, সীমানা পর্যবেক্ষণের জন্য ২০টি বুলেট ক্যামেরা এবং বিভিন্ন ভবন পর্যবেক্ষণের জন্য চারটি পিটিজেড ক্যামেরা এবং সাতটি ডম ফেস রিকগনাইজেশন ক্যামেরা কেনা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালে কয়েক দফায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। লাগানো হয় ৭৪টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা। ৫টি গেটের ক্যামেরা ছিল প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নত, যা কেনা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে। এসব ক্যামেরা নাইট ও ডে ভিশন। ফলে রাতের অন্ধকারেও মানুষ চেনা যায়। এছাড়া নতুন করে ৪টি ব্যাগেজ স্ক্যানার বসানো হয়েছিল। সেগুলো অকেজো হয়ে গেছে। এখন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগামী এপ্রিল মাস নাগাদ সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত হবে, তখন টাকা পাওয়া গেলে সরঞ্জাম কেনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে।

কালের আলো/আরআই/এমকে