পার্ক-মাঠের জায়গায় স্থাপনা না নির্মাণে সাইনবোর্ড লাগাবে ডিএনসিসি

প্রকাশিতঃ 4:57 am | March 14, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:

ডিটেল এরিয়া প্ল্যানে (ড্যাপ) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় পার্ক, মাঠ ও জলাশয়ের জায়গায় যেন কোনো ভবন বা স্থাপনা না নির্মাণ করা হয় সেজন্য সাইনবোর্ড লাগাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গুলশান নগরভবনে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (২০২২-২০৩৫) প্রস্তাবিত পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক, ইকো পার্কসমূহের সংরক্ষণ ও দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন জমি, খাস জমি ও অন্যান্য খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক, জলাশয় এগুলো রক্ষণে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত বাউন্ডারির ব্যবস্থা করা হবে।

ড্যাপের নির্ধারিত মাঠ, পার্ক ও জলাশয়ের মৌজা ও দাগ নম্বর উল্লেখ করে আমরা জেলা প্রশাসন, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এসব জায়গার খাজনা গ্রহণ ও জমি হস্তান্তর বন্ধ রাখতে বলবো। এসব জায়গা ও জলাশয় যেকোনো সরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি মালিকানার হলেও এগুলো সংরক্ষণ করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব জায়গায় সাইনবোর্ড লাগানো হবে যেন কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করা না হয়। অবৈধ দখলমুক্ত করতে ঈদের পরে রাজউক ও ডিএনসিসি যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় রাজউক কর্তৃক প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫’ তে প্রস্তাবিত পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক, ইকো পার্কসমূহের থানা, মৌজা ও দাগ নম্বর অনুযায়ী সীমানা চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথভাবে পদক্ষেপ নেবো।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মামুন-উল-হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এসএম শফিকুর রহমান প্রমুখ।

কালের আলো/এসএকে