খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ 5:09 pm | March 14, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

কক্সবাজারের খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় তিনি প্রকল্প এলাকায় যান। এ সময় প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রকল্পের ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

প্রকল্প পরিচালক মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রকল্প এলাকাটি ২৫৩ একর জায়গা নিয়ে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পুনর্বাসন প্রকল্প, বাফার জোন, শুটকি মহল ও পর্যটন এরিয়া। এর মধ্যে পুনর্বাসন প্রকল্প ১১২ একর। এই পুনর্বাসন প্রকল্পকে চারটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে- ব্লক এ, বি, সি, ডি। পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে বর্তমানে ১২৯টি আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

১২৯টি আবাসিক ভবনে ৪ হাজার ১২৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্পে ১২৯টি আবাসিক ভবনে জলবায়ু উদ্বাস্তু এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন হওয়া সর্বমোট ৪ হাজার ১২৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। পাশাপাশি অধিবাসিদের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে অন্যান্য নাগরিক সুযোগসুবিধা। এই প্রকল্পের প্রতিটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনের প্রতি তলায় আটটি করে মোট ৩২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ৪০৬ বর্গফুট, যাতে রয়েছে দুটি রুম, রান্নাঘর, বারান্দা ও টয়লেট। এছাড়া, প্রত্যেক আবাসিক ভবনের নিচতলায় চারটি অতিথিশালা এবং জরুরি অবস্থায় দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে ১২৯টি আবাসিক ভবনের মধ্যে ১২২টি আবাসিক ভবনের নির্মাণকাজে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং সাতটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে বি ব্লকের ১৯টি ভবনে মোট ৬০০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। বাকি নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা ১০৩টি ভবনে ৩ হাজার ২৯৬টি পরিবার এখনই পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে এই পুনর্বাসনযোগ্য পরিবারের নামীয় তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই ৩ হাজার ২৯৬টি পরিবারকে আমরা পুনর্বাসন করতে সক্ষম হবো।

তিনি জানান, অনাবাসিক ভবনের মধ্যে একটি মসজিদ ও চারটি সাইক্লোন শেল্টারের নির্মাণ কাজসম্পন্ন করা হয়েছে এবং একটি কমিউনিটি সেন্টার, একটি মন্দির ও একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। উন্নতমানের জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট/রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট, সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, রাস্তা, ড্রেন ও জেটি নির্মাণ কাজ চলমান।

বর্তমানে কাজের ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, অবশিষ্ট কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও সুপারভাইজার তদারকির কাজ করেন। এছাড়া, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের নিজস্ব ল্যাবরেটরির মাধ্যমে টেস্ট করা হয়।

কালের আলো/এমডিএইচ