মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই করতে হবে
প্রকাশিতঃ 4:37 pm | March 15, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে। এছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল মিলে ঐকমত্য পোষণ করতে হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গোল টেবিল বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এই গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণের কাছে আমাদের সংস্কারের যে কমিটমেন্ট, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা সেটা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদের দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছি।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটাই আলোকপাত করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রধানরা তাদের স্ব স্ব সংস্কার রিপোর্টের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছিলেন। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষে আমরা মনে করি, বিচার ও সংস্কার জনগণের কাছে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের অন্যতম কমিটমেন্ট।
সংবিধান সংস্কার নিয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার গণপরিষদের মাধ্যমেই করতে হবে। সংসদে সংবিধান সংস্কার টেকসই হবে না, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকেও এটাই দেখতে পাই। আমরা আমাদের এই দলীয় অবস্থান সংক্ষেপে বলেছি। জাতিসংঘ মহাসচিবও তার জায়গা থেকে বলেছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেন সমঝোতায় আসে, একটা ঐক্যমতে আসে সেটা চেয়েছেন। গণতন্ত্রের ট্রু এসেন্স সেটাকে মাথায় রেখেই যেন আমরা একসঙ্গে কাজ করি, একটি ঐক্যমতে আসতে পারি সেটাই তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন।
এনসিপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা মনে করি, নির্বাচনকে আমরা একটি সংস্কারের প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি, সংস্কারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। কোনো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না। অন্য সব রাজনৈতিক দলও এই কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে। এখানে মতপার্থক্য হচ্ছে কোন সংস্কারটা কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে। আমরা মনে করি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হলে, মতপার্থক্যগুলা কেটে যাবে। আমরা ঐক্যমতে আসতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের কাছে বিচার ও সংস্কার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি, ধন্যবাদ জানিয়েছি। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, আমরা যেন নিজেরা ঐক্যমতে আসতে পারি। আমরা যদি নিজেরা ঐক্যমতে আসতে পারি তারা তাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করবেন।
কালের আলো/এসএকে