গরমে বেড়েছে তরমুজ-ডাবের চাহিদা, দাম বাড়ার অভিযোগ

প্রকাশিতঃ 6:03 pm | March 15, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে আসা আগাম তরমুজ ও ডাবের চাহিদা এমনিতেই বেশি ছিল। গত কয়েকদিনের গরমে সেই চাহিদা আরও বেড়েছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত তরমুজ-ডাবের দোকানে ক্রেতারা ভিড় করছেন। চাহিদা বাড়ার সুযোগে বিক্রেতারা বাড়তি দাম চাইছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর, বারিধারা ও বাড্ডা এলাকার বিভিন্ন ফলের দোকানি এবং তরমুজ-ডাবের ভাসমান দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, বাজারে আগের তুলনায় তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। মাঝারি থেকে বড় আকারের তরমুজের পরিমাণ বেশি। সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। বড় আকৃতির তরমুজ আগের মতোই ৭০ টাকা কেজি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। দামাদামি করলে ৬০-৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ছোট আকৃতির তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডাবের বাজার এর চেয়েও চড়া। দেখা গেছে। দোকানগুলোতে তিন ধরনের ডাব বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ছোট আকৃতির ডাব পিস ৮০-৯০ টাকা, মাঝারি আকৃতির ডাব ১০০-১৩০ টাকা এবং বড় আকৃতির ডাব ১৫০-১৭০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যেখানে রোজার আগে মাঝারি আকৃতির ডাব ১০০ টাকা এবং বড় আকৃতির ডাব ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

ক্রেতাদের অভিযোগ, গরমের কারণে চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়েছেন, যা অনৈতিক।

সোলাইমান নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজান মাসে তরমুজ ও ডাবের চাহিদা বাড়া স্বাভাবিক। এই সুযোগে বিক্রেতারা যেন দাম বেশি বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের তদারকি দরকার। তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাই বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন।

সাব্বির আহমেদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কিছু বিক্রেতা অতিরিক্ত মুনাফা করতে চান। তারা যে দাম চাইছেন সেটি অনেক বেশি, একচেটিয়াও। যে যার মতো করে দাম নিচ্ছেন। ভাসমান দোকানগুলোর চেয়ে ফলের স্থায়ী দোকানগুলোতে দাম বেশি।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসের শুরু থেকে পাইকারিভাবেই দাম অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।

আব্দুল হান্নান নামে এক বিক্রেতা বলেন, তরমুজের এখনো পুরোপুরি সিজন শুরু হয়নি। সেজন্য দাম একটু বেশি। আর ডাবের চাহিদা এমনিতেই গরমের সিজনে বেশি থাকে। তরমুজের দাম সামনে কমার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ডাবের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

কালের আলো/এসএকে