কমিশনের ১০৮ বিষয়ে একমত, ৫৮টিতে আংশিক ও পুরোপুরি দ্বিমত এবি পার্টি

প্রকাশিতঃ 7:35 pm | March 17, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ১০৮টি বিষয়ে একমত, ৩২টি বিষয়ে দ্বিমত এবং ২৬টি বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করে লিখিত মতামত দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

সোমবার (১৭ মার্চ) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলির সমন্বয়ে একটি দল জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে এই লিখিত মতামত জমা দেন।

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের পক্ষে মতামত গ্রহণ করেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

ঐক্যমত কমিশনে পাঠানো মতামতে সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব রেখেছে এবি পার্টি। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টে আপত্তি জানিয়েছে। প্রাদেশিক শাসন ব‍্যবস্থায় দ্বিমত প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে সংবিধানের সংশোধনী উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমোদন এবং গণেভাটের বিধানকে সমর্থন করেছে। এছাড়াও সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ এর পক্ষে মত দিয়েছে এবি পার্টি।

এবি পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ মার্চ ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তারই প্রেক্ষিতে আজ ঐক্যমত কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক পূরণকৃত স্প্রেডশিটসমূহ জমা দেয় এবি পার্টি।

এতে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে সর্বমোট ছয়টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। ১ম প্রস্তাবনা হলো— ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’। এই উপায়ে সংবিধান সংশোধন বর্তমান সংবিধানের আলোকে অগ্রহণযোগ্য। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ (১)(খ) এর বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতার মাধ্যমে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তন বা রহিত করা যায় না। তাই বর্তমান সংবিধান স্থগিত বা বাতিল না করে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা বর্তমান সংবিধান সাপেক্ষে বেআইনি। তবে, বর্তমান সংবিধান স্থগিত করে জুলাই রেভ্যোল্যুশনের স্পিরিটের (Doctrine of Necessity) আলোকে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক বিধানসমূহ পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন করে নতুন সংবিধান পুনর্লিখন করা যেতে পারে। এবিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আপিল বিভাগের কাছে সরকার অধিকতর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অন্যদিকে, অবশিষ্ট ৫টি প্রস্তাবনা সার্বিক বিবেচনায় দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে এবি পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে এবি পার্টি স্প্রেডশিটসমূহে উল্লেখিত সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে আইনি সম্ভাব্য জটিলতা থাকা সত্ত্বেও প্রথম প্রস্তাবনাকেই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) বেছে নিয়েছে।

তাছাড়া, যেসব প্রস্তাবনায় সংবিধান সংশোধনের সম্ভাব্য উপাদান নেই সেসব ক্ষেত্রে ১ম প্রস্তাবনাটিই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) সবচেয়ে সহজসাধ্য বলে এবি পার্টির বিশ্বাস।

এসময় এবি পার্টির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, সহকারী দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরণ চৌধুরী ও সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক।

কালের আলো/এমডিএইচ