ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন ট্রাম্প
প্রকাশিতঃ 7:50 pm | March 18, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়ার দখলে নেওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিমাফর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তিতে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিমাফর এই বিষয়টির সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা জাতিসংঘকেও ওয়াশিংটনে মতো একই কাজ করার আহ্বান জানানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
তবে সিমাফরের প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সিমাফর বলেছে, হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সিমাফর বলেছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তবে সম্ভাব্য বিভিন্ন পদক্ষেপের মাঝে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বিষয়টিও রয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজি করানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে দুই দেশের নেতা টেলিফোনে আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালে রাশিয়া হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল নিলেও এখনও ওই উপদ্বীপ আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনের বলে স্বীকৃত। কিয়েভ বলেছে, তারা কৃষ্ণ সাগর লাগোয়া উপদ্বীপ ফিরে চায়। যদিও এই উপদ্বীপ বলপ্রয়োগ করে ফিরে পাওয়া আপাতত অবাস্তব বলে স্বীকার করেছে ইউক্রেন।
আর ক্রেমলিন বারবার বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কৃষ্ণ সাগর কেন্দ্রিক বহরের ঘাঁটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপে স্থাপন করা হয়েছে। এই দ্বীপের জনসংখ্যার বেশিরভাগই রুশভাষী এবং এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ইউক্রেনের কাছে এই উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ ফেরার পথ চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্র: রয়টার্স।
কালের আলো/এসএকে