বাংলাদেশ নিয়ে ‘ছবক’ অথচ ভারতে মুসলমান নির্যাতনে তুলসীর মুখে কুলুপ কেন?
প্রকাশিতঃ 10:58 pm | March 19, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাপ্রধানদের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। ইসকন ভাবাদর্শে প্রভাবিত ‘প্র্যাকটিসিং হিন্দু’ তুলসী এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ইসলামিক খেলাফত নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার ও কাল্পনিক অভিযোগ করেছেন। তাঁর বিতর্কিত সব মন্তব্য বাংলাদেশের আবহকে গরম করে তুলেছে। কোনো নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অভিযোগ অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। তুলসীর এই মন্তব্য ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রোপাগাণ্ডানির্ভর এবং সত্যের অপলাপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার তুলসী যখন নয়াদিল্লিতে বসে বাংলাদেশ নিয়ে ‘ছবক’ দিচ্ছেন ঠিক তখন দেশটির নাগপুরে মুসলমানদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। নজিরবিহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নিজ চোখেই তিনি এমন নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করলেও মুখে কুলুপ এঁটে নির্বাক থেকেছেন। তাঁর উপস্থিতিতেই ভারতের ভেতরে মুসলিম নিধন নিয়ে নীরব ভূমিকার মাধ্যমে প্রকারান্তরে তিনি অন্য কোন দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছেন বলেই মনে করছেন আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
জানা যায়, পারস্য ও আফগানিস্তান থেকে আগত সুলতান-মুঘলদের হাত ধরে মুসলমানরাই ভারত নামক বিশাল আধুনিক রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন ঘটিয়েছিল। সেই ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা এখন ভারতকে মুসলমানদের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কিংবা মুসলমানদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলেই চলেছে। রাম মন্দিরের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ৫শ’ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে রামমন্দির নির্মাণ, মুঘল-মুসলমানদের ইতিহাস ও স্মৃতি বিজড়িত অসংখ্য স্থান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন, গো রক্ষার নামে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মুসলমানদের হত্যা করাসহ নানা অজুহাতে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা সৃষ্টির ঘৃণিত ইতিহাস রয়েছে। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে বছরে এমন কোনো দিন যায় না, যেদিন দেশটির কোনো না কোনো অঞ্চলে মুসলমানরা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার না হন। মসজিদ, মাদরাসা ও মুসলমানদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর না হয়। মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও হত্যাকাণ্ড ঘটে প্রায় প্রতিদিনই। কিন্তু মুসলমানদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে করা এসব কর্মকাণ্ডকে ভারত তার অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে। বিপরীতে বাংলাদেশে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা না ঘটলেও এ বিষয়টি নিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই গত কয়েক মাস যাবত নির্লজ্জ কায়দায় অপপ্রচার চালিয়ে আসছে ভারতীয় গণমাধ্যম। ভারতে সংখ্যালঘুরা বিশেষত মুসলমানরা কেমন অসহায় ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, সেটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম চেপে গেলেও বিশ্বব্যাপী প্রচারমাধ্যম ভারতের নগ্ন চেহারা তুলে ধরতে সাহসী ভূমিকা রাখছে। প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের এসব বিষয় কী অজানা? তিনি কি কখনও পড়েননি তাঁরই দেশের ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষক জনাই রাইট ‘স্বাধীন ভারতের মুসলমানদের ওপর হিংস্রতা’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি? আরএসএস অনুসারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভারতজুড়ে মুসলিমবিরোধী ঘৃণা ছড়িয়ে দেশটিকে পুরোপুরি হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করতে চান সেটি দেখেও কী করে তিনি না দেখার ভান করছেন? এমন প্রশ্ন সব ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ বিভিন্ন পরিমণ্ডলের আলাপচারিতায়।
দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরই ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা তুঙ্গে ওঠে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতনকে বাড়বাড়ন্ত ও কাল্পনিক ভূমিকায় উপস্থাপনের মাধ্যমে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর মহোৎসব শুরু করে। অথচ এই সময়টিতে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারাই আক্রান্ত হয়েছেন সেসবের বেশিরভাগই ছিল রাজনৈতিক ঘটনা। ক’দিন আগে ভারত সফরে এসে এ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগ ছাড়াই তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদী’রা নানা দেশে ‘ইসলামি খেলাফতে’র আদর্শে শাসনক্ষমতা হাতে নিতে চায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এই আদর্শকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদে’র বিপদ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করছে বলে পাশাপাশি বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া দ্বিতীয় আর একটি সাক্ষাৎকারেও এমন মন্তব্য করেন তুলসী গ্যাবার্ড। মূলত এসব বিষয়ে তিনি অযৌক্তিক ও নির্বোধের মতো কথা বলেছেন। কারণ, বাংলাদেশ বরাবরই ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশটি অর্জন করেছে অসাধারণ অগ্রগতি।
ভারতে নিজেদের জন্মভূমিতে নিষ্পেষিত হচ্ছে মুসলমানরা
তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভারতে মুসলমানেরা নিজেদের জন্মভূমিতেই নিষ্পেষিত হচ্ছে বছরের পর বছর। মুসলমানদের প্রতি ভারতের লজ্জাজনক ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণ বিশ্ব আর মেনে নিতে পারে না। তাঁরা নিজের ঘরে লাখ লাখ মুসলিমকে নির্যাতন করছে প্রকাশ্যে। এই জুলুমের বিরুদ্ধে নির্বাক বিশ্ব সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যখন ভারত সফরে ওই সময়ই নাগপুরে মুঘল আমলের মসজিদ ভাঙ্গা ও কোরআন পোড়ানোর গুজবে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বলেছে পুলিশের সহায়তায় হামলা, লুটপাট বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। হোলি উৎসবের সময় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসিলমদের প্রার্থনায় বাধার সৃষ্টির অভিযোগ এসেছে। পবিত্র রমজানে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আচরণে চরম অসহায় ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমরা। দেশটিতে সংখ্যালঘুদের কোন নিরাপত্তা নেই। অহরহ ঘটছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। পারি দিচ্ছে দু:স্বপ্নের প্রতিটি মুহুর্ত। আহত রক্তাক্ত মুসলমানদের আর্তচিৎকার আর আতঙ্কিত মানুষের দিগ্বিদিক ছোটাছুটি তুলসী গ্যাবার্ডের কর্ণকুহরে পৌঁছেনি, নজরে আসেনি যেন! অথচ ভারতীয় মিডিয়া তুলসি গ্যাবার্ডের কাছে জানতে চেয়েছে প্রতিবেশি দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে। কিন্তু নিজের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকার বিষয়ে তুলসির কাছে কোন প্রশ্ন করেনি ভারতীয় মিডিয়া। ভারতের এই আচরণ নিয়ে প্রতিবেশি দেশে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ভারত নিজের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আসামির কাঠগড়ায়। কিন্তু প্রতিবেশি বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সাম্প্রদায়িক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে তাঁরা নানা রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিকার চেয়েছে শান্তিকামী মানুষ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিজেপি সরকার ভারতে বসবাসকারী ২০ কোটির অধিক মুসলমানকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, ভারতের মুঘল সম্রাটগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন আওরঙ্গজেব (রাহি:)। তার কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পরার কারণে সেখানে কারফিউ জারির মত ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়, অমানবিক ও দুঃখজনক। জামায়াত নেতা বলেন, বিজেপির মদদপুষ্ট বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর উস্কানীর কারণেই ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বার বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে। এজন্য বিজেপি সরকারই দায়ী। বিজেপি সরকারের এ ধরনের সাম্প্রদায়িক তৎপরতা জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ভারত সরকারের মুসলমান নিধনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ভারতে মুসলিম নিধন বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহহ সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক কারণেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ট্রাম্পকার্ড
ধর্মীয় আবেগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ও অসত্য মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেছেন দেশের বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠন। অনেকে বলছেন, ভারতের যেসব মৌলবাদী হিন্দুরা বাংলাদেশ সম্পর্কে সংখ্যালঘু কার্ড খেলতে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রোপাগাণ্ডায় লিপ্ত, তুলসী সেখানে হাওয়া দিয়েছেন মাত্র। তারা বলছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম হলেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের অনুসারীরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন যুগযুগ ধরে। রাজনৈতিক কারণে এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ট্রাম্পকার্ড খেলা হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে ভারত এই খেলা শুরু করেছে। পতনের পর আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনারাও নানাভাবে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভারত ছাড়া আর একটি দেশও এ নিয়ে উদ্বেগ পর্যন্ত জানায়নি। বরং এবার তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, তা নিজেদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাস। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব বিজন কান্তি সরকার বলছেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে কথা বলা হচ্ছে, ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয়েছে আওয়ামী লীগের সময়ে। অন্য সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা আসলে রাজনৈতিক কারণে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বলা হয়।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই বিষয়টিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগনে অন্তর্বর্তী সরকারের অবশ্যই জানানো উচিত। তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিপ্রায়ে তার ধর্মবিশ্বাস ও ভারতের হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারার সমর্থনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হীন কৌশলে ঘায়েল করার অপতৎপরতার ছক কষেছেন। এটা যে কত বড় মিথ্যা, এর প্রমাণ হচ্ছে বিশ্বের আর কোনো দেশ বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন কোনো অভিযোগ আনেনি। তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য একেবারে অকূটনৈতিক ও অদূরদর্শী। তাঁর লাগাম টেনে না ধরলে তিনি মার্কিন জাতীয় স্বার্থকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেন। এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের টনক থাকলে নড়া উচিত।’
কালের আলো/আরআই/এমকে