হুথিদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বস্ত করার দাবি ইসরায়েলের
প্রকাশিতঃ 11:12 am | March 20, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হুথি বিদ্রোহীদের ওপর চলমান মার্কিন হামলার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ওই হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। তেল আবিব ও জেরুজালেমে সতর্ক সংকেত শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ বাহিনী।
বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে সেনাবাহিনী বলেছে, ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এসময় সতর্ক সংকেত বাজানো হয়।
ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, ওই হামলায় কোনও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে, টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে হুথিদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার থেকে মার্কিন হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে আছে তারা। এর জবাব দিতেই তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের আক্রমণের জবাবে অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তম মার্কিন অভিযান এটি।
এদিকে, মঙ্গলবার হুথিরা বলেছে, ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা শুরু করেছে তারা। গাজায় আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ায় তেল আবিবের বিরুদ্ধে তাদের হামলার আওতা বৃদ্ধি পাবে।
২০২৩ সালের শেষদিকে ফিলিস্তিনে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনি গোষ্ঠী। গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানানোর দাবি করে, শতাধিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের হামলায় বিশ্ববাণিজ্যে ক্ষতি যেমন হয়েছে তেমনি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে গিয়ে মার্কিন বাহিনীর প্রচুর ব্যয় হয়েছে।
ইয়েমেনি হুথিদের প্রতিরোধের অক্ষ বলে বিবেচনা করে থাকে পশ্চিমারা। এই অক্ষে রয়েছে ইসরায়েল ও পশ্চিমা জোট বিরোধী আঞ্চলিক সব সশস্ত্র গোষ্ঠী, যেমন হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরাকের সশস্ত্র সব গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠী ইরানের সহায়তায় পরিচালিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
কালের আলো/এমডিএইচ