আ.লীগের নামে ও নৌকা প্রতীকে রাজনীতি চলবে না : বাগছাস

প্রকাশিতঃ 6:50 pm | March 21, 2025

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে ও নৌকা প্রতীকে আর কখনো রাজনীতি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সমাবেশ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে।

জাহিদ আহসান বলেন, রিফাইন আওয়ামী লীগ নামে কোনো আওয়ামী লীগ হয় না। আওয়ামী লীগ মানেই আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে এই ফর্মুলা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরত আনা হয়েছে। নামে-বেনাম আওয়ামী লীগকে ফেরত এনে শেখ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে বাংলাদেশকে আরও একটি গণহত্যার দিকে ঠেলে দিতে আমরা জুলাইয়ে রক্ত দেইনি।

তিনি বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট, যেখান থেকেই আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করা হবে, সেসব প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

বাগছাসের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, এখনো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হয় যেখানে ৫ আগস্ট নির্ধারণ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ থাকবে কি থাকবে না। বিভিন্ন প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা চলছে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত আছে ততদিন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ফিরতে দেব না। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, আওয়ামী লীগের বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব।

মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসিসর চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পরে যে মাইনাস টু ফর্মুলা সে মাইনাস টু ফর্মুলা হচ্ছে সাউথ এশিয়ান মাইনাস টু। এখানে আমাদের ভারত ও পাকিস্তানের আধিপত্য থেকে বের হতে হবে। আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ডিপ্লোম্যাটিক জোন নির্ধারণ করতে হবে। নতুন ডিপ্লোম্যাটিক জোনের মাধ্যমে আমার দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। আমরা ভারত-পাকিস্তানমুখী রাজনীতি শেষ করে ফেলেছি। আমরা আর ভারত-পাকিস্তানমুখী রাজনীতি করতে চাই না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে নতুন করে বাংলাদেশের রাজনীতি কি হবে, বাংলাদেশের ভাগ্য কি হবে সেটি আমরা কখনোই মেনে নেব না।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, ঢাবি শাখার সদস্য সচিব মহির আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কালের আলো/এমডিএইচ