বগুড়ায় দুজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, ৫ পুলিশ সদস্য আটক

প্রকাশিতঃ 5:20 pm | March 24, 2025

বগুড়া প্রতিবেদক, কালের আলো:

বগুড়া থেকে দুই ব্যক্তিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজশাহী পুলিশের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও পুলিশের একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করেন। সেই সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালককেও আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম ও বাশির আলী ও মাইক্রোচালক মেহেদী হাসান।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা জানান, আরএমপির গোয়েন্দা শাখার পাঁচ সদস্য রাতে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ধুনট উপজেলায় এসে জুয়া খেলার অভিযোগে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী ও জাহাঙ্গীর নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে মাইক্রোবাসে তোলেন। পরে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরে গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষি করে নগদ দুই লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

বগুড়া জেলা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানা এলাকায় মাইক্রোবাসটি জব্দ করার চেষ্টা করে। পরে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি জব্দ করা হয়। এতে থাকা পাঁচজন নিজেদের আরএমপির গোয়েন্দা শাখার সদস্য পরিচয় দেন। পরে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা কাউকে না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে বগুড়ায় এসেছিলেন। এরপর তাদের আটক এবং মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া নগদ দুই লাখ টাকা ও একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়।

এসপি জানান, ধুনট উপজেলার বাসিন্দা ওয়াহাব নামের একজন কনস্টেবল আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত। তিনি ছুটি নিয়ে দুদিন আগে বাড়িতে আসেন। তার তথ্যমতে রাজশাহী থেকে পাঁচজন ধুনটে আসেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। হাইওয়ে পুলিশ তাদের ধুনট থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের নামে ভুক্তভোগীদের একজন বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কালের আলো/এএএন