মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি সই

প্রকাশিতঃ 7:15 pm | March 24, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত স্টাডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর (এসওপি) মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে এসওপিতে স্বাক্ষর করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন সে দেশের জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াইটচার্চ৷

এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অভিবাসন এবং মানবপাচার গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং বৈধ অভিবাসনের নীতিগুলোকে বিপন্ন করে। এটি কেবল অসংখ্য জীবনকেই বিপন্ন করে না বরং দক্ষতা-ভিত্তিক এবং বৈধ অভিবাসনের পথে এটি হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, আমরা বিপজ্জনক এবং জীবন-হুমকিপূর্ণ যাত্রা রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করা যায়।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালা মেনে একটি নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। যারই অংশ হিসেবে আজ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এই এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই এসওপি অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে।

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্য, উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে বৈচিত্র্যময় কর্মীবাহিনী/শ্রমিক, যার মধ্যে আছে অত্যন্ত দক্ষ পেশাদার থেকে শুরু করে আধা-দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক, যারা অস্ট্রেলিয়ার শ্রম বাজারের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার মোকাবিলায় একটি সামগ্রিক ও সমন্বিত আঞ্চলিক পদ্ধতির প্রয়োজন।

উপদেষ্টা এসময় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট দেশগুলোতে বিস্তৃত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেন। তাছাড়া তিনি ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

কালের আলো/এসএকে