বিকেলে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বাড়তে পারে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে
প্রকাশিতঃ 10:44 am | March 29, 2025

গাজীপুর প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ থাকলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর অংশে নেই কোনো যানজট। শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই দুই মহাসড়কে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। তবে দুপুরের পর থেকে সড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন যানজট নিরসনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জানা গেছে, শনিবার গাজীপুরের সকল কারখানায় ছুটি হবে। ফলে দুপুরের পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে গাজীপুরের অর্ধেকের বেশি কারখানা ছুটি হয়। ফলে এদিন সন্ধ্যার দিকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে। শনিবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে বোর্ডবাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি একে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ কারখানা ছুটি হয়েছে। বাকি কারখানাগুলো শনিবারের মধ্যে ছুটি হয়ে যাবে। ফলে দুপুরের পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-কমিশনার আশোক কুমার পাল বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শুক্রবার সারাদিন কোথাও কোনো যানজট ছিল না। সন্ধ্যার পর শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ায় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে উঠানামা করায় কিছুটা জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। চাপ থাকলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, চন্দ্রা এলাকায় সারাদিন যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজট হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর মানুষ আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে তিন দিকেই কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের সারি হয়েছে।
মহাসড়কের নিরাপত্তায় জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশের ৪ হাজার সদস্যের কাজ করছে। গাজীপুরে দুই হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানার মধ্যে পোশাক কারখানা এক হাজার ১৫৪টি। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ কর্মী।
কালের আলো/এএএন