গাজীপুরের মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশিতঃ 12:17 pm | March 29, 2025

গাজীপুর প্রতিবেদক, কালের আলো:

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দলে দলে বাড়ি ফিরছে মানুষ। শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। তবে বিভিন্ন স্থানে গাড়ির চাপ থাকলেও নেই দীর্ঘ যানজট। যানজট নিরসন ও ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গাড়ির সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যান চলাচল করছে ধীর গতিতে। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ইউটার্ন নেয়া, যাত্রী উঠানামার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে নেই চিরচেনা যানজট। অনেকটা স্বস্তি নিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন সাধারণ মানুষ।

গাজীপুরের নাওজোর হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইচ উদ্দিন বলেন, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা। এর মধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ কর্মী। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৬৬ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। অন্যান্য ঈদের থেকে এবার ঈদে তুলনামূলক বেশি ছুটি থাকায় অধিকাংশ মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। শনিবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এবং গাজীপুর মহানগরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে কয়েকটি পয়েন্ট থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে সেসব স্থানে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ কমিশনার আশোক কুমার পাল বলেন, শুক্রবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সারাদিন কোথাও কোনো যানজট ছিল না। শুক্রবার দুপুরে কারখানা ছুটি হওয়ার পর বিকেল থেকেই মহাসড়কে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে উঠানাম করায় কিছুটা জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চাপ থাকলেও গাড়ি থেমে নেই। এ অবস্থা চলে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত। শনিবার ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এদিন সকাল ৭টা থেকে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর স্টেশনরোড, গাজীপুরা, বড়বাড়ি, মালেকের বাড়ি, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা মোড় ও এর আশপাশের অংশ, তেলিপাড়া এলাকায় ঘরমুখো মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওইসব পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে লোকজন উঠানোর কারণে মাঝেমধ্যেই জটলা তৈরি হচ্ছে, যানবাহন ধীরে গতিতে চলছে।

নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশের চার হাজার সদস্য কাজ করছেন। চন্দ্রা এলাকায় সারাদিন যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর মানুষ আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে তিনদিকেই কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের সারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন করছে।

কালের আলো/এমডিএইচ