ঈদের আগে বাড়তি মসলার দাম

প্রকাশিতঃ 10:51 am | March 30, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মসলার দাম বেড়ে গেছে। আগামীকাল (৩১ মার্চ) ঈদ উদযাপন শুরু হতে পারে, আর সেই উপলক্ষে ক্রেতাদের ঈদের প্রস্তুতি শুরু হলেও, ঈদের আনন্দে মসলার দাম বেড়েছে চড়া। ব্যবসায়ীরা ঈদের চাহিদাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত দামে মসলার পণ্য বিক্রি করছেন।

বাজারে ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, এই সময়ে রাজধানীজুড়ে মসলার দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিশেষত, ঈদের দিনে খাদ্য প্রস্তুতির জন্য মসলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দাম গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, পণ্যের দাম পরিসরে এলাচ ৩,২০০ টাকা থেকে ৫,৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১,৪০০ থেকে ১,৪৫০ টাকা, জিরা ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ থেকে ১,০০০ টাকা, হলুদের গুঁড়া ৪০০ টাকা, কালোজিরা ৩৫০ টাকা এবং তেজপাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষভাবে দারুচিনি ও গোলমরিচের দাম ঈদের সময় বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী মসলার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, প্রতি কেজি দারুচিনির দাম ৪০ টাকা বেড়েছে এবং গোলমরিচের দাম ৮০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে, বাজারে এলাচি প্রকারভেদে ৪,৬০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লবঙ্গ ১,৩০০ থেকে ১,৩৫০ টাকায়, কালো গোলমরিচ ১,১০০ থেকে ১,২০০ টাকায়, সাদা গোলমরিচ ১,৪০০ থেকে ১,৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে কিশমিশের দাম প্রতি কেজি ৫৬০-৭০০ টাকা, আলুবোখারা ৪৫০-৫০০ টাকা, কাঠবাদাম ১,০০০ থেকে ১,১০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ২,৬০০ থেকে ২,৭০০ টাকা, কাজুবাদাম ১,৫০০ থেকে ১,৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য বিশাল চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মসলার দাম বৃদ্ধির পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। তাদের মতে— প্রথমত, বিশ্ববাজারে মসলার কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। দ্বিতীয়ত, দেশে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমদানি খরচ বাড়ায় মসলার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকারকরা জানান, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে তাদের পণ্যের আমদানি খরচ বেড়েছে, যার ফলে মসলার দামও বাড়তে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে, ব্যবসায়ীরা জানান, এই পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরের মতো বিশেষ উপলক্ষে মসলার দাম বৃদ্ধি পেলে সাধারণ মানুষের পক্ষে সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে, অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ চড়া দাম মেনে খাবার পণ্য কিনতে গিয়ে তাদের ঈদের আনন্দে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ জনগণের দাবি, ঈদের আগে মসলার দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হোক এবং ভোক্তাদের স্বার্থে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা লোভী দামের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

কালের আলো/এমডিএইচ