শেষ মুহূর্তে দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের ঢল
প্রকাশিতঃ 2:06 pm | March 30, 2025

রাজবাড়ী প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাত পোহালেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। ব্যক্তিগত যানবাহনের সঙ্গে বেড়েছে মানুষের চাপ। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
রোববার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায় ২০ মিনিট ব্যবধানে পাটুরিয়া থেকে ৩টি ফেরি সহস্রাধিক যাত্রী ও তিন শতাধিক ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট কার নিয়ে আসে। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহন ফেরি থেকে নেমে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।
গার্মেন্টস কর্মী সাকিব হোসেনের সঙ্গে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটের পন্টুনের ওপর থেকে কথা হয়। তিনি বলেন, সে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে যাচ্ছি। পরিবারের অন্য সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। গত শনিবার গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে আজ সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট পর্যন্ত আসতে পেরেছি। পথে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।
সেলিম রেজা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। গতকাল শনিবার তার অফিস ছুটি হয়েছে। আজ সকালেই বেড়িয়ে পড়েন বাড়ির উদ্দেশ্যে। ঢাকা থেকে লোকাল বাসে পাটুরিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠেছেন। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই এবার যেতে পারছেন বলে দাবি তার।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, যাত্রী ও যানবাহন চালকদের যাতে ভোগান্তি না হয় তার জন্য এই রুটে ছোট বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যাতে কোন যাত্রী ও যানবাহন ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ছিনতাইকারী যাতে কোনো যাত্রীদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে না পারে তার জন্য ঈদের আগ থেকে অভিযান চালিয়ে একাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কালের আলো/এসএকে