শহরের নিরাপত্তায় রাস্তায় ঈদ করেছেন পুলিশ সদস্যরা

প্রকাশিতঃ 10:26 am | March 31, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যখন সারা দেশের মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দে মেতেছে, তখন রাজধানীর রাস্তায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ঈদগাহ ময়দান ও প্রবেশমুখগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঈদের নামাজও আদায় করেছেন কর্মস্থলের কাছেই।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, গুলশান আজাদ মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা ভোর থেকেই টহল দেয়। ঈদের নামাজ চলাকালীন পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছিল চেকপোস্ট। বিশেষ করে গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও শনিরআখড়া বাস টার্মিনালসহ শহরের প্রবেশ ও বহির্মুখী সড়কগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়। কোনো ধরনের সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদের আগে রাজধানী থেকে প্রচুর মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ায় শহরের বেশ কিছু এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। এসময় চুরি, ডাকাতি বা অন্য অপরাধ রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকেও সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, নগরবাসী যেন যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপির পুলিশ সদস্যরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। রাজধানীতে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

গুলশান আজাদ মসজিদে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্যর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসলে আমাদের ঈদ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই করতে হয়। দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেছি। তবে আমরা সবসময় চেষ্টা করি যেন মানুষ নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারে। সেজন্য আমাদের যা যা করার সেটাই আমরা করি।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের ঈদ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পরিবারের সঙ্গে না থাকতে পারলেও মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছি, এটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।

সাধারণ মানুষও পুলিশের এ ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। রাজধানীর এক বাসিন্দা বলেন, আমরা নিরাপদে ঈদের নামাজ পড়তে পারছি, পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে পারছি– এটা সম্ভব হচ্ছে পুলিশের নিরাপত্তার কারণে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

কালের আলো/এসএকে