সবাইকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চান সিইসি

প্রকাশিতঃ 12:17 pm | April 01, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়কে ধরে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরমধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, ভোট কেন্দ্র স্থাপনে নীতিমালাসহ নির্বাচন ঘিরে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি। এই অবস্থায় সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়নে যে চ্যালেঞ্জ তা সবাই নিয়ে মোকাবিলা করতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সম্প্রতি ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালকালে এমন কথা জানান তিনি।

গুরুদায়িত্ব নিয়ে এবার ঈদ কেমন কাটবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ঈদ ভালো কাটবে কোনো অসুবিধা নেই। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি যখন সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। পিছু হটার সুযোগ নাই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এবার ঈদ ঢাকায় পালন করবেন বলেও তিনি জানান।

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়, জন্ম ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করার পর ১৯৭৭ সালে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতা হিসেবে। দুই বছর পর তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। প্রশাসন ক্যাডারের এ ব্যাচটি বিসিএস ৭৯ ব্যাচ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ কর্মজীবনে তথ্য সচিব, জ্বালানি সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অবসরে যান ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে।

জুলাই আন্দোলনে গত বছরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওই বছরের ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মাস পরে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। প্রায় দেড় মাস কমিশন শূন্য থাকার পর ওই বছর ২১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, নির্বাচনের আগে বড় প্রস্তুতির মধ্যে আছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ যা শেষ হবে জুনে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ যেটির আইন সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন যেখানে নতুন রাজনৈতিক দল আবেদন করতে পারবে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এছাড়া পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য বিদ্যমান নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার পুনঃমূল্যায়ন কাজ চলমান। এর বাইরে নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, ব্যালট পেপার তৈরির মতো কাজগুলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শুরু করা হয়।

কালের আলো/এমডিএইচ