রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ, নেই ক্রেতাও
প্রকাশিতঃ 1:24 pm | April 01, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে গত কয়েকদিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় অর্ধকোটি মানু্ষ। ফলে এখন অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী শহর। সেই সঙ্গে রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ। সবকিছু খুলে স্বাভাবিক ঢাকার রূপ ফিরতে আরও দুই তিনদিন সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকার রাস্তায় নেই পর্যাপ্ত গণপরিবহন, মাঝে মাঝে দুই একটি বাস চলতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে যাত্রীর সংখ্যাও খুবই কম। এছাড়া খুব অল্প সংখ্যক সিএনজি চললেও চালকদের দাবি যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সড়কের অলিগলিতে পর্যাপ্ত ব্যাটারিচালিক রিকশা চলতে দেখা গেছে। রিকশার যাত্রীদের অভিযোগ তাদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন রিকশা চালকরা।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তান, ফার্মগেটসহ সব এলাকার দোকানপাট বন্ধ। এছাড়া যে দুই একটি দোকানে খোলা দেখা যাচ্ছে সেখানেও ক্রেতার উপস্থিতি একেবারে নেই বললেই চলে।
রাজধানীর মালিবাগ বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি দোকান খোলা দেখা গেছে। তার মধ্যে একটি মুদির দোকান। সেই দোকানি মোখলেছুর রহমান বলেন, সকালে দোকান খুলেছি, আশপাশে কোনো দোকানই খোলা নাই। তবুও সকাল থেকে এই পর্যন্ত মাত্র দুইজন কাস্টমার পেয়েছি। সকালে যখন এসেছি, আবার এখনও পর্যন্ত আশআশে আধাকিলোমিটারের মধ্যে দুই একটি দোকান খোলা দেখেছি। সবাই গেছে নিজ এলাকায় ঈদ করতে। আর যারা ঢাকাতে রয়েছে তারাও ছুটি কাটাচ্ছে, ফলে দুই একদিনের মধ্যে এসব দোকানপাট আর খুলবে না।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যাত্রীবহন করেছেন সিএনজি চালক হাবিবুর মিয়া। আলাপকালে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। তেমন কোনো যাত্রী নেই। সকাল থেকে তিনটি ট্রিপ পেয়েছি তার মধ্যে ঘুরেছি বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট। আবার ধানমন্ডি থেকে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা হয়ে শেখেরটেক। সব শেষ হাজারীবাগ থেকে গুলিস্তান। এসব এলাকার বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখেছি। ছুটি শেষ হয়ে ঢাকা আবার জমজমাট হতে আরও ২/৩ দিন সময় লাগবে।
রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর সিগন্যালে কথা হয় সভার থেকে ছেড়ে আসা বৈশাখী বাসের সহযোগী মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাভার থেকে গাবতলী, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী হয়ে গুলশান পর্যন্ত আসার সময়ে রাস্তার দুই পাশের দোকানপাটের প্রায় সবগুলোই বন্ধ দেখেছি। এদিকে আমাদের বাসসহ অন্যান্য বাসেও কোনো যাত্রী নেই। ঢাকা শহর বলতে গেলে পুরোটাই ফাঁকা। সকাল থেকে বাস চালিয়ে তেমন যাত্রী পাওয়া যায়নি, এখনও তেলের টাকা ওঠেনি।
কালের আলো/এসএকে