ইকুয়েডরে মোরগ লড়াইয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১২ জন নিহত

প্রকাশিতঃ 3:16 pm | April 20, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। মোরগ লড়াই চলাকালে বন্দুকধারীদের হামলায় তারা প্রাণ হারান। দেশটির মানাবি প্রদেশের লা ভ্যালেন্সিয়া নামে এক গ্রামীণ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে হামলা ও প্রাণহানির ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইকুয়েডরের মানাবি প্রদেশের লা ভ্যালেন্সিয়া নামে এক গ্রামীণ এলাকায় মোরগ লড়াই চলাকালে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হামলার পরদিন শুক্রবার পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নকল ইউনিফর্ম উদ্ধার করে।

বিবিসি বলছে, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়— সশস্ত্র বন্দুকধারীরা মোরগ লড়াইয়ের রিংয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, আর উপস্থিত দর্শকরা আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা সেনাবাহিনীর নকল পোশাক পরে ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে, তারা কোনও অপরাধী গ্যাংয়ের সদস্য এবং প্রতিপক্ষকে টার্গেট করতেই তারা সেখানে গিয়েছিল।

প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন শুরু করেছে। ইকুয়েডরে প্রায় ২০টি বড় অপরাধী চক্র সক্রিয় এবং তারা মাদকপাচারের রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে।

প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ কোকেন এখন ইকুয়েডরের বন্দর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পাচার হয়। এসব মাদক আসে প্রতিবেশী কলম্বিয়া ও পেরু থেকে। এই দেশ দুটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোকেন উৎপাদক দেশ।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্তে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হামলার পেছনে থাকা গ্যাংয়ের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ইকুয়েডরে ৭৮১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মাস হিসেবে বিবেচিত। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগই মাদক ব্যবসা ও গ্যাং দ্বন্দ্বের সাথে সংশ্লিষ্ট।

কালের আলো/এসএকে