নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইসরায়েলি গোয়েন্দাপ্রধানের
প্রকাশিতঃ 9:52 am | April 23, 2025

আন্তজার্তিক ডেস্ক, কালের আলো:
ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান রোনেন বার দখলদারদের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
তিনি বলেছেন, তাকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছেন নেতানিয়াহু। কারণ, তিনি নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য অবৈধ কাজ করতে রাজি হননি।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বার সুপ্রিম কোর্টে এ অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, আদালত এই বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন এবং তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন। এরপর অনেক মানুষ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে। তারা বলছে, নেতানিয়াহু গণতন্ত্রকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।
কিন্তু নেতানিয়াহুর দাবি, রোনেন বার তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এই বিশ্বাস ভঙ্গের কারণেই ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলা এবং তা থেকে শুরু হওয়া গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়।
তবে, বার বলেছেন, নেতানিয়াহু তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি নভেম্বর ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে নেন।
আদালতে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু শিন বেতকে একাধিকবার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রতিবাদে অর্থদাতাদের উপর নজর রাখতে বলেন। ’
শিন বেতের প্রধান আরও বলেছেন, তিনি একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনুরোধপত্রে সই করতে অস্বীকার করেছিলেন। অনুরোধপত্রটি নেতানিয়াহুকে চলমান দুর্নীতির বিচার থেকে মুক্তি দিতে পারত। এই মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা এবং জনসাধারণের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।
ধারণা করা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর আগে হামাস ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু ইসরায়েল তা উপেক্ষা করে। হামলায় ১১০০ এর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়, বন্দি করা হয় ২৫০ জনকে। তাদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি এখনও গাজায় রয়েছে। শিন বেত এই বিষয়েই তদন্ত চালাচ্ছিল।
নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, রোনেন বারের বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরখাস্তের উদ্দেশ্য তদন্ত বন্ধ করা ছিল না।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে ৫১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করার চেষ্টা এবং চলমান গাজা-ইসরায়েল বিরোধ বন্দি মুক্তির ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা প্রমাণ করছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
কালের আলো/এমডিএইচ