কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

প্রকাশিতঃ 3:57 pm | April 24, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চারদিনের কাতার সফরের শেষদিনে আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দোহায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। খবর-বাসস

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দোহায় ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথোপকথনে: একটি রূপান্তরিত বিশ্বে যুব নেতৃত্বকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি ফায়ারসাইড চ্যাটে যোগ দেন। স্থানীয় সময় বুধবার এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিডল ইস্ট কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স এবং জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র হানা এলশেহাবি। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দোহার সামিট ভিলেজে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সফরে বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সে দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার দোহায় কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুল রহমান বিন হাসান আল-থানির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। সেখানে কাতারের ব্যবসায়ীরা সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। প্রেস সচিব বলেন, বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা কাতারের মন্ত্রীকে বলেছেন, বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং ও অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোসহ বিনিয়োগ পরিষেবা উন্নয়ন করা হচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করে উৎপাদিত পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করতে পারবেন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সেদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

কাতার তিন বছর পর পর বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন করে সেনাসদস্য নেবে। প্রধান উপদেষ্টা কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে এই সেনাসদস্যের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। একইদিন কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কালের আলো/এসএকে