ডাকসু নির্বাচন চান ঢাবির ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশিতঃ 6:31 pm | April 25, 2025

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৯৬ শতাংশ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজনকে সময়োপযোগী ও জরুরি বলে মনে করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত পরামর্শক কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে শিক্ষার্থীরা এ মত দিয়েছেন। জরিপে ১৭৪৩ জন শিক্ষার্থী নিজের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।

জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৭৫ শতাংশ মনে করেন, ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হলে তা সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, নির্বাচন আরও এক বছর বা তারও পরে হলে ভালো হবে।

জরিপটি পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল, যা শুরু হয় ২৩ মার্চ এবং ফলাফল ৬ এপ্রিল জমা দেওয়া হয় পরামর্শক কমিটির কাছে। এতে শিক্ষার্থীরা ই-মেইলের মাধ্যমে ডাকসু সম্পর্কিত আটটি প্রশ্নে মতামত দেন।

শিক্ষার্থীদের প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতামত–

#নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জরুরি পদক্ষেপ– ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী চান প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী চান সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ও গণনা, ১৪% শিক্ষার্থী চান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা।

#ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য অবস্থান– ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে ভোটকেন্দ্র হবে নির্দিষ্ট একাডেমিক ভবন (যেমন কার্জন হল, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে ভোটকেন্দ্র হবে একাডেমিক ভবন ও হলগুলোতে, ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী চান ভোটকেন্দ্র হবে শুধু হলে।

#প্রার্থিতার যোগ্যতা সম্পর্কে মত– ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে প্রার্থিতা দাখিলের সময় থেকে অন্তত এক বছর বৈধ ছাত্রত্ব থাকা উচিত, অন্যান্য প্রস্তাব– ন্যূনতম সিজিপিএ, নির্দিষ্ট বয়সসীমা ও কোনো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত না হওয়া।

#নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি– ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি মিলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত। অন্যদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথবা বাইরের নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে কমিশন গঠন করা যেতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও পরামর্শক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাবনা জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই এ জরিপের আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রস্তাবনা নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কমিশনের কাজে সহায়ক হবে বলে আমরা আশা করি।

কালের আলো/এসএকে