নৌকা’র বিরোধিতাকারী এমপি-মন্ত্রীদের ব্যাপারে হার্ডলাইনে আ’লীগ
প্রকাশিতঃ 12:42 pm | April 18, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দলীয় প্রতীক নৌকা’র বিরোধিতাকারী মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে জমা পড়েছে পাহাড়সম অভিযোগ। আর সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে দলের পক্ষ থেকে ৮টি টিম তদন্ত করছে। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার কাছ থেকে এসব তথ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নেতারা জানান, ঢালাওভাবে আমরা কাউকে শোকজ করছি না। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলবে শুধু তাদের শোকজ করা হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তড়িঘড়ি করে কিছু করা হবে না।
চার ধাপে মোট ৪৪৪ টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৩০৮ প্রার্থী জয় পান। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১০৭ জন। স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন ১৩২ জন। যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। জুনে শেষ ধাপে বাকী উপজেলায় নির্বাচন হবে।
বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হওয়ায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেয়া হয় তদন্তের।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, যেসব এমপি, মন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় নেতা নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা করেছেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলছি, এছাড়া কথা বলছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির আগেই শেষ হবে তদন্ত।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অভিযোগের সত্যতা, মাত্রা এসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এসবের চুড়ান্ত রিপোর্ট আসার পর ১৯ তারিখ যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হবে কাদের বিরুদ্ধে শোকজ যাবে।
শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে নোটিশ দেয়া শুরু হবে। অভিযুক্তরা এর জবাব দিতে সময় পাবেন ১৫ দিন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান আরো বলেন, যারা বিরোধীতা করেছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হবে। তাদের জবাব পাওয়ার পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা। এর সংখ্যা প্রায় শতাধিক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, অভিযোগ অনেক আছে। সংখ্যাটা বলা মুশকিল। সাড়ে চারশো উপজেলা থেকে একশো থেকে দেড়শো অভিযোগ এসেছে। সত্যতা পেলে শোকজ, আর জবাব পাওয়ার পরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা।
বিএনপি জোট উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ উন্মুক্ত রাখে আওয়ামী লীগ।
কালের আলো/এমএইচএ