‘রাষ্ট্রীয় খরচে আবহাওয়া পরিবর্তনের সুযোগ পান মুক্তিযোদ্ধারা’
প্রকাশিতঃ 7:49 pm | February 25, 2018
কালের আলো রিপোর্ট:
রাষ্ট্রীয় খরচে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা বছরে দেশের অভ্যন্তরে আবহাওয়া পরিবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদের বৈঠকের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন।
পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা আবহাওয়া পরিবর্তনের সুযোগ পান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে একবার কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিবর্তন/ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাসিক ভাতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধারা যেসব সুবিধা পাচ্ছেন তা হলো- আবাসন সুবিধা, রেশন সুবিধা, শিক্ষাভাতা, কন্যাদের জন্য বিবাহভাতা (এককালীন ১৯,২০০/-), উৎসব ভাতা, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে প্রীতিভোজ, ২০ শতাংশ ও তদূর্ধ্ব পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে বিদেশে বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা, মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন/ সৎকার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন, সিটি করপোরশেন এলাকায় ১৫০০ বর্গফুটের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল মওকুফ, যুদ্ধাহত পরিবারের দুই বার্নারের একটি গ্যাসের চুলার গ্যাস বিল মওকুফ, হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল বিল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এই পরিচয়পত্র দিয়ে রেল, বিমান, বাসে বিনাভাড়ায় যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
সরকারি দলের সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য কৃষি জমি প্রায় ৭৯ দশমিক ৪৬ লাখ হেক্টর। আবাদযোগ্য কৃষি জমির মধ্যে চাষযোগ্য প্রায় ৫৩ শতাংশ।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, ঢাকায় একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের জন্য স্থাপত্য অধিদফতর থেকে স্থাপত্য নকশার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই নকশা চূড়ান্ত করা হবে। নকশা চূড়ান্ত করার পর ডিপিপি তৈরি ও অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
সরকারি দলের সদস্য আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে জানান, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর ছয় হাজার ৩৪১ জন সদস্য কর্মরত আছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর পাঁচ হাজার ৪৯৭ জন, নৌবাহিনীর ৩৪১ জন, বিমান বাহিনীর ৫০৩ জন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
কালের আলো/ওএইচ