মিয়ানমারের তিন ‘জঙ্গি’র ১০ বছর করে কারাদণ্ড

প্রকাশিতঃ 8:20 pm | April 28, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

মিয়ানমারের তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। তারা আরএসও, জিআরসি, এআরইউ সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় রবিবার(২৮ এপ্রিল) ঢাকার চার নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. নুর হোসেন ওরফে রফিকুল ইসলাম (৩০), ইয়াসির আরাফাত (২৬) ও ওমর করিম ((২৯)। দণ্ডিতদের মধ্যে ওমর করিম পলাতক।

তিনি মিয়ানমারের আফিয়ার জেলার পাথর কিল্লাহ থানার পিফারাং গ্রামের মৃত আবুল বসরের ছেলে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুজনের মধ্যে নুর হোসেন আর্কিয়াব জেলার আরাকান থানার দানেশপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ হোসেনর এবং ইয়াসির একই জেলার মন্ডু থানার হাসুরাধা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহ্উদ্দিন হাওলাদার জানান, আসাসিদের দশ বছর দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছে ট্রাইব্যুনাল। ওই টাকা অনাদায়ের তাদের আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর লালবাগ থানাধীন এতিমখানা রোডে ব্যাচেলর ব্যারাকের পশ্চিম পাশে বাউন্ডারি দেওয়াল সংলগ্ন ফুটপাতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দণ্ডিত নুর হোসেন এবং ইয়াসির গ্রেপ্তার হন এবং ওমর করিমসহ চারজন পালিয়ে যান।

ওই সময় নুর হোসেন ও ইয়াসিরের সঙ্গে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর পটাশিয়াম ক্লোরেড ও আসেনিক ডাই সালফাইড জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করে ডিবির বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম।

ওই ঘটনায় পরদিন ১ ডিসেম্বর লালবাগ থানায় মামলা করে ওই টিমের এসআই এসএম রাইসুল ইসলাম।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তারা আরএসও, জিআরসি, এআরইউ নামক জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা আন্তর্জাতিক ইসলামি উগ্রপন্থি সংগঠনের সহায়তায় বাংলাদেশে নাশকতা করার জন্য একত্রিত হন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ডিবির একই টিমের এসআই মো. আব্দুল কাদের মিয়া দণ্ডিত তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় সাদ্দাম, সাহাবুদ্দিন ও জোবায়ের নামে তিনজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলায় একই বছরের ১২ জুলাই চার্জগঠন করে আদালত। মামলাটির বিচারকালে আদালত নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

কালের আলো/এমএইচএ