রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারে, পায় না যাত্রীরা : সুজন
প্রকাশিতঃ 11:31 pm | May 19, 2019
কালের আলো প্রতিবেদক:
জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি হওয়ার কারনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীরা টিকিট পায় না।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে মতবিনিময় কালে সুজন এসব কথা বলেন।
নাগরিক উদ্যোগের নেতারা এ সময় রেলওয়ের একজন নিরাপত্তারক্ষীকে টিকিট কালোবাজারির সময় দেখতে পেয়ে স্টেশন ম্যানেজারকে অবহিত করেন। স্টেশন ম্যানেজার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে ঐ নিরাপত্তারক্ষীকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
সুজন বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ট্রেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের প্রাচীনতম স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রী সাধারণের সুযোগ সুবিধা খুবই অপ্রতুল। যাত্রীদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত গণশৌচাগার নেই। ওয়েটিং রুম এবং সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। নেই কোনো পরিকল্পিত নিরাপদ ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের জায়গা নেই। সুবর্ণ, সোনার বাংলা, তূর্ণা নিশীতা, উদয়ন এক্সপ্রেস এবং পাহাড়ীকার যাত্রীসেবার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। পুরাতন বগি, ছেঁড়া সিট ও কার্পেট, উৎকট গন্ধ এবং ছারপোকার উপস্থিতি ভ্রমণ যাত্রাকে বিঘ্নিত করে। সোনার বাংলা ট্রেনে ২৫০ টাকার বিনিময়ে যে খাবার সরবরাহ করা হয় তা বেশিরভাগ যাত্রীর অপছন্দ।
এর আগে দুপুর ১২টায় সুজন ওয়াসার এমডি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওয়াসার এমডি বার বার আশ্বাস দেওয়ার পরও বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহের কোনো উন্নতি না হওয়ায় সুজন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিকেল ৩ টায় সুজন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল, চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সুজন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগির মাস। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ বিপণি বিতানে কেন্দ্রীয় শীততাপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে সাধারণ গ্রাহকের ইফতার, সেহেরি এবং নামাজের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে জনগণ কষ্ট পাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশন মাস্টার মাহাবুবুর রহমান খান, মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, হোসেন কোম্পানি, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু, আব্দুল আজিম, নুরুল কবির, মো. সেলিম, হাফেজ ওকার উদ্দিন, এজাহারুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন বাহাদুর, মো. শাহজাহান, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, মো. সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, স্বরূপ দত্ত রাজু প্রমুখ।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ