‘চুরি করে কারও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এমন ঘটনা কেউ শুনেছেন?’
প্রকাশিতঃ 7:05 pm | March 05, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা পাওয়ার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে বিএনপির নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ।
ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চুরি করে কারও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এমন ঘটনা কেউ শুনেছেন? তাও আবার এতিমের টাকা…।’
সোমবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সাপ্তাহিকস ‘ক্রাইম জগত’ এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন হানিফ।
১৯৯১ সালে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
বিএনপির দাবি, এই রায় জনগণ মেনে নেয়নি। আর রায়ের পর খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। জনপ্রিয়তা কী পরিমাণ বেড়েছে, তার একটি হিসাবও দিয়েছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ। তার দাবি, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে দিনে ১০ লাখ করে ভোট বাড়ছে বিএনপির।
জবাবে হানিফ বলেন, ‘এগুলো বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বেগম জিয়া কারাগারেই থাক। কারাগারে থাকলে বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়বে। আসলে তারা খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে চায়।’
‘আপনারা আপনাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখতে চান, রাখুন। আপনাদের নেত্রীকে আপনারা কারাগারে রাখেন না অন্য কোথাও রাখবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না।’
এই মামলায় সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আদালত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই মামলার রায় দিয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে আজকে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে চায়।’
‘মামলা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। ১০ বছর ধরে এই মামলা চলেছে। এখানে আমাদের কী দোষ আছে?’
‘তারা(বিএনপি) তাদের অপরাধকে সরকারের উপর চাপানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার দুর্নীতি করেছে, এটা দেশের মানুষ সবাই জানে।’
বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি সন্ত্রাস, উগ্র মৌলবাদের যে ‘ছোটখাট’ তৎপরতা আছে তা নির্মূল করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলেও দাবি করেন হানিফ।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার সমালোচনা জানিয়ে হানিফ, ‘এই হত্যা কিন্তু আজকে থেকে শুরু হয়নি। এটা জাতি দেখেছে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়। সেই সময়ও কিন্তু আমরা দেখেছি ধর্মের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমরা অনেকটাই এদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি। এখনো যারা আছে, তারা বিএনপি-জামায়াতের মদদেই সক্রিয় আছে।’
‘ক্রাইম জগত’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্ধোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, ক্রীড়া সংগঠক আলী আসগর খান, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।
কালের আলো/এসএ